Visva Bharati VC: ‘উনি বিশ্বভারতীর ভাল চান না, অপমান করে আনন্দ পান’, উপাসনা গৃহে বসে উপাচার্যের মন্তব্যে বিতর্ক
Visva Bharati VC: মঙ্গলবার বিশিষ্ট চিকিৎসক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মরণ সভা থেকেই এমন মন্তব্য করেন উপাচার্য।
বোলপুর: তিন ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব নৃত্য চলেছিল। বিশ্বভারতীর প্রাচীর ভাঙার কথা মনে করিয়ে ফের একবার সরব হলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। শুধু তাই নয়, নাম না করে বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুবত মণ্ডলকেও কটাক্ষ করেন উপাচার্য। মঙ্গলবার সদ্য প্রয়াত বিশিষ্ট চিকিৎসক, পদ্মশ্রী সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাসনা গৃহে। সেখানে বসেই ক্ষোভ উগরে দিলেন উপাচার্য। ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহে বসে কেন রাজনৈতিক বক্তব্য পেশ করলেন উপাচার্য, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ। সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তিতে কালি লাগানোর কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
পদ্মশ্রী সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি আবক্ষ মূর্তি তৈরি করা হয়েছিল আগেই। অনুব্রত মণ্ডল সেই মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন। সেই মূর্তিতে কালি লাগানো হয়েছিল। সে ব্যাপারে অনুব্রত মণ্ডল কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি বলেও এ দিন উল্লেখ করেন উপাচার্য। সেই মূর্তি উন্মোচনের কথা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘আমার সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার কোনও ইচ্ছা ছিল না। নাম না করে অনুব্রতকে কটাক্ষ করে উপাচার্য বলেন, ‘যিনি সভার অধ্যক্ষ ছিলেন, তিনি কখনও বিশ্বভারতীর ভাল চান না। অপমান করেই আনন্দ পান। তাই ওই মঞ্চে আমি বসতে চাইনি।’ ওই মূর্তির নীচে অনেকের নাম থাকলেও বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম ছিল না বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
একই সঙ্গে এ দিন উপাচার্যের মুখে উঠে আসে মেলার মাঠের পাঁচিল ভাঙার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে ২১ অগস্ট বিশ্বভারতীতে তাণ্ডব নৃত্য চলেছিল। সেখানে বহিরাগত বহু সমাজ বিরোধী ছিলেন। অনেকেই আমাদের পরিচিত। তাঁদের বক্তব্য ছিল উপাচার্যকে শিক্ষা দিতে হবে।’ তাঁর দাবি, পরিকল্পনা করেই বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙা হয়েছিল। গ্রাম থেকে লোক এনে জড় করা হয়েছিল। তাঁর দাবি ওই ঘটনার নেতৃত্বে সে দিন ছিলেন তৎকালীন এক বিধায়ক। কিন্তু চিকিৎসক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বভারতীর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন বলে উল্লেখ করেন উপাচার্য।