Dead Body Recover: লাইটে জড়ানো গামছা, দরজা-জানলা খোলা, ঘরের ভিতর একা মহিলাকে এ কী অবস্থায় দেখলেন প্রতিবেশীরা
Nanur: স্থানীয় সূত্রে খবর, বীরভূমের নানুরের গোমড়া গ্রাম। মৃতের নাম সঞ্চিতা শেঠ (৪০)। তাঁর স্বামী বৃন্দাবন শেঠ।
বীরভূম: ঘরের দরজা খোলা, জানালাও খোলা। প্রতিবেশীরা উঁকিঝুঁকি মারতেই দেখতে পেল ভয়ানক কাণ্ড। ঘরের মধ্যেই মহিলাকে এমন ভাবে দেখবেন হয়ত ঠাউর করতে পারেননি স্থানীয় বাসিন্দারা।
বীরভূমের নানুরের ঘটনা। সেখানে ঘরের ভিতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তবে আদৌ খুন নাকি অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বীরভূমের নানুরের গোমড়া গ্রাম। মৃতের নাম সঞ্চিতা শেঠ (৪০)। তাঁর স্বামী বৃন্দাবন শেঠ।শেঠ দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে কাজের সূত্রে কলকাতায় থাকেন। বাড়িতে একাই থাকতেন মহিলা।
এলাকাবাসীর দাবি, নিত্যদিন সকাল-সকাল ঘুম থেকে উঠতেন। কিন্তু বুধবার তাঁকে দেখতে পাননি গ্রামবাসী। এরপরই জানলা দিয়ে তাকাতে দেখতে পান ঘরের দরজা খোলা, ছাদ ভাঙা। ঘরের সমস্থ লাইটে গামছা দিয়ে ঢাকা। আর দেরি না করেই চটজলদি ঘরের ভিতর ঢোকেন এলাকাবাসী। গিয়ে দেখেন শরীরের মধ্যে গলায় কাটা ও চেরা দাগ আছে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিন্হ আছে। যদিও ঘটনাস্থলে এসে নানুর থানার পুলিশ দেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা কি কারণে খুন তা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তবে পুলিশ খতিয়ে দেখছে যে, চুরি করতে এসে এই খুনের ঘটনা কিনা।। বা কোনো রকম শারীরিক নির্যাতন করে এই ঘুন হয়েছে কিনা। পুলিশ প্রশাসনের তরফে সমস্ত দিকটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘ঠিক কী হয়েছিল বলতে পারব না। প্রতিদিন সকাল বেলা ওঠেন। আজ ওঠেনি বলে দেখতে গিয়েছিলাম। তারপর দেখি ঘরের ভিতর এই অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। আমি দেখলাম মুখ বেঁকে হাত পা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ওর গলায় নখের দাগ ছিল। ওকে মনে হয় খুন করা হয়েছে।’