Canning TMC Murder: ক্যানিংয়ে তৃণমূল নেতা খুনে এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত রফিকূল, উত্তাপ বাড়ছে গ্রামে
Canning TMC Murder: এই ঘটনার দু'দিনের মাথায় এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আফতাব নামে ওই ব্যক্তি খুনের আগে এলাকার রেইকি করেছিল বলে জানা গিয়েছে। আফতাবউদ্দিন শেখ এফআইআরের তালিকায় থাকা বসির শেখের ভাই।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ক্যানিংয়ে তিন তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। ঘটনার পর সপ্তাহ খানেক কেটে গিয়েছে। এখনও এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত, সেই রফিকূলের কোনও খোঁজ মিলছে না। রফিকূলের গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার গ্রামবাসীরা।
গত বৃহস্পতিবার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামের একেবারে দক্ষিণ দিক থেকে তৃণমূলের সদস্য স্বপন মাঝি ও তাঁর দুই সঙ্গী ঝন্টু হালদার ও ভূতনাথ প্রামানিকের দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় তাজা বোমা ও গুলি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, এক জনকে গুলি করে বাকি দুজনকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনার দু’দিনের মাথায় এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আফতাব নামে ওই ব্যক্তি খুনের আগে এলাকার রেইকি করেছিল বলে জানা গিয়েছে। আফতাবউদ্দিন শেখ এফআইআরের তালিকায় থাকা বসির শেখের ভাই।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্বপন মাজি কখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাইকে চেপে হেড়োভাঙা বাজারে দলীয় অফিসে যান, সে দিকেই নজর রেখেছিলেন আফতাব। তিনিই খবর দেন তাঁর দাদা বসির শেখ ও বাপি ওরফে দেলোয়াড় মণ্ডলকে। সেই খবর মতো রফিকুল, বাপি, বসিররা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। তাঁরাই স্বপন মাজিকে বাইক সহ আটকে দেন রাস্তার মাঝে। ঘটনার সময় আফতাবও ছিলেন সেখানে। এফআইআর-এর তালিকায় রয়েছেন রফিকুল সর্দার, জালাল উদ্দিন আখন্দ, বাপি শেখ, বাপি ওরফে দেলোযার মণ্ডল, এয়াইদুল্লা মণ্ডল, আলি হোসেন লস্কর।
এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্তরা কেউই গ্রেফতার হননি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। যদিও একুশ সালের নভেম্বর মাসে এক তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে বুধবারই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রামবাসীরা চাইছেন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দ্রুত কিনারা করুক পুলিশ। যদিও এখনও তদন্তকারীরা এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।