হাওড়া: দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আর তিনমাসও বাকি নেই। বিভিন্ন জায়গায় প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। রবিবার বিকালে হাওড়ার (Howrah) জগদীশপুরের মাঝেরহাট দুর্গোৎসব কমিটিও বৈঠকে বসে। মূলত, দুর্গাপুজো নিয়ে বৈঠকে বসে গ্রামবাসীরা। কিন্তু সেই বৈঠক ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। বৈঠক চলাকালীন বহিরাগত তৃণমূল কর্মীরা ওই পুজো কমিটিতে ঢোকার জন্য হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় কমপক্ষে ৪ গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। পাল্টা তৃণমূলেরও ২ কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। বর্তমানে তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি। এলাকার পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং ব়্যাফ নামাতে হয়।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, গত দু-বছর ধরে এলাকার বাইরের বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা ও কর্মী মাঝেরহাট দুর্গোৎসব কমিটি দখল করে পুজোর ব্যবস্থা করেন। এই নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের পারদ চড়তে থাকে। তাই এবছরে গ্রামবাসীরা জোট বেঁধে পুজো করবেন বলে ঠিক করেন। সেইমতো রবিবার বিকেলে ক্লাবের মধ্যে গ্রামবাসীরা বৈঠক ডাকেন। ওই বৈঠকে মহিলারাও অংশগ্রহণ করেন। সেই বৈঠক চলাকালীন তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কিছু বহিরাগত কর্মী হামলা চালায় এবং গ্রামবাসীদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ৪ গ্রামবাসী আহত হয়।
যদিও গ্রামবাসীর অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা বহিরাগতদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাপস সাঁতরা। নিজেকে মাঝেরহাট পুজো কমিটির সম্পাদক দাবি জানিয়ে তাপসবাবু জানান, তাঁরাই মাঝেরহাট দুর্গাপুজো করেন। এদিন তাঁদের পুজো কমিটির মিটিং ছিল। হঠাৎ করেই বহিরাগত লোকেরা নিজেদের মাঝেরহাট পুজো কমিটির সদস্য দাবি জানিয়ে ফেস্টুন টাঙিয়ে মিটিং শুরু করে। তাঁরা বাধা দিতে গেলে তাঁদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় তাঁদের ২ কর্মী আহত হয়েছেন বলেও তাপসবাবুর অভিযোগ।
দু-পক্ষের পাল্টা অভিযোগ ও সংঘর্ষে এদিন বিকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জগদীশপুরের মাঝেরহাট এলাকা। পুজোয় রাজনৈতিক রং থাকবে না দাবি জানিয়ে গ্রামবাসীরা পথ অবরোধ করে। তারপর পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। চাপা উত্তেজনা থাকায় ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে লিলুয়া থানার পুলিশ এবং ব়্যাফ।