Jhalda Municipality: এবার ঝালদা পুরবোর্ড নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারে অধীর

শুক্রবার রাজ্যপাল এক নির্দেশ জারি করেন। সেই নির্দেশিকাতে বলা হয় ওই পুরসভায় আপাতত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জবা মাছুয়া। পুর আইন মেনেই রাজ্যপাল নির্দেশ দিয়েছেন বলে দাবি প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের।

Jhalda Municipality: এবার ঝালদা পুরবোর্ড নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারে অধীর
অধীর চৌধুরী (ফাইল চিত্র)।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 04, 2022 | 8:02 PM

ঝালদা: ঝালদা পুরবোর্ড (Jhalda Municipality) গঠন নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। এবার এই বিষয়ে রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে চিঠি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। চিঠিতে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ চলছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রদেশ সভাপতি।

ঝালদা পুরভোটের প্রসঙ্গ তুলে প্রদেশ সভাপতি চিঠিতে জানিয়েছেন, রাজ্যের শাসকদল পরাজিত হয়েছে। সেজন্য কংগ্রেসকে পুরবোর্ড গঠন করা থেকে আটকাতে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে খুন করে কংগ্রেসকে নির্মূল করার চেষ্টা হচ্ছে অভিযোগ তুলে তিনি লিখেছেন, সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। পুরসভার সমস্ত বিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচিত চেয়ারম্যানের জায়গায় শাসকদলের প্রতিনিধিকে বসানো হয়েছে। এটা সরকারি প্রতিষ্ঠান, গণতন্ত্রের উপর বুলডোজার চালানোর সামিল এবং নির্বাচিত প্রতিনিধির গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন প্রদেশ সভাপতি। এই নোংরা খেলা বন্ধ করে গণতন্ত্র সুদৃঢ় করার জন্য রাজ্যপালের হস্তক্ষেপেরও দাবি জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী।

Adhir Chowdhury Letter

রাজ্যপালকে চিঠি অধীর চৌধুরীর।

প্রসঙ্গত, ঝালদা পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে শিলা চট্টোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস। এই শিলা চট্টোপাধ্যায় আবার নির্দল প্রার্থী ছিলেন। তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। তার আগেই আচমকা রাজ্য সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে তৃণমূলের জবা মাছুয়ার নামে এক কাউন্সিলরকে পৌর প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। যদিও সরকারের এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ কংগ্রেস।

শুক্রবার রাজ্যপাল এক নির্দেশ জারি করেন। সেই নির্দেশিকাতে বলা হয় ওই পুরসভায় আপাতত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জবা মাছুয়া। পুর আইন মেনেই রাজ্যপাল নির্দেশ দিয়েছেন বলে দাবি প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের। ক্ষুব্ধ কংগ্রেস রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত কে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টেও যাচ্ছে হাত শিবির। তবে আদালতে যাওয়ার আগে সরাসরি রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি দিলেন বহরমপুরের সাংসদ।