বর্ষা মানেই বাঁধ ভাঙা জলপ্লাবন, নদী বাঁধের হাল হকিকত দেখতে ওড়ানো হচ্ছে ড্রোন
যে সমস্ত এলাকাগুলি বন্যাপ্রবণ, সেগুলির নদীবাঁধ (River dam) বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছে তা চটজলদি দেখার জন্য এই ড্রোনের ব্যবহার করা হচ্ছে।
কোচবিহার: বর্ষা এলেই ফুলে ফেঁপে ওঠে নদীমাতৃক বাংলার নদীগুলি। উত্তরবঙ্গ (North Bengal) হোক কিংবা দক্ষিণবঙ্গ, বিপদের হুঁশিয়ারি সর্বত্রই এক। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে থাকে নদীর জল। ভেঙে তছনছ করে নদী বাঁধগুলি। গ্রামের পর গ্রাম ভাসিয়ে নিয়ে যায়। চাষের জমি জলের তলায় চলে যায়। ইয়াস থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার একটু বেশিই সতর্কতা কোচবিহারে। বর্ষার আগে ড্রোন দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিভিন্ন নদী বাঁধের বর্তমান অবস্থা।
বর্ষা এসে পড়ল বলে। তার আগে ড্রোন উড়িয়ে নদী বাঁধগুলিতে নজরদারি চালানোর কাজ শুরু করেছে তুফানগঞ্জ ব্লক প্রশাসন। গত রবিবার থেকে বিভিন্ন নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় এই কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজে বেশ কয়েকটি ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
ড্রোন নিয়ে এলাকার বিভিন্ন নদী বাঁধগুলির কাছে যাচ্ছেন আধিকারিকরা। বাঁধের উপর দিয়ে সেই ড্রোন উড়ে যাচ্ছে এক মাথা থেকে অন্য মাথা। বাঁধের যে সমস্ত অংশগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার ছবি তুলে নিচ্ছেন। ড্রোন ব্যবহার করার জন্য চিহ্নিতকরণের কাজ গতি পেয়েছে।
সম্প্রতি ভারী বৃষ্টির জেরে ব্লকের বিভিন্ন নদী বাঁধগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত তুফানগঞ্জ মহকুমার দু’টি ব্লকের মধ্যে যে সমস্ত এলাকাগুলি বন্যাপ্রবণ, সেগুলির নদীবাঁধ বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছে তা চটজলদি দেখার জন্য এই ড্রোনের ব্যবহার করা হচ্ছে। বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলির ছবি তুলে নেওয়া হচ্ছে। ওই ছবিগুলি পাঠানো হবে জেলা প্রশাসনের কাছ। সেই মতই প্রশাসন কাজে নামবে।