Hawkers: ক্ষুধার অগ্নিতে পথহারা হকাররা, বন্যার তোড়ে বেসামাল জীবনের চাকা

Hawkers : ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় যাত্রীরা সমস্যায় পড়ছেন। আর যাত্রীরা স্টেশনে না আসায় চিন্তায় পড়েছেন হকাররা। ট্রেনে হকারি করেই তাঁদের সংসার চলে।

Hawkers: ক্ষুধার অগ্নিতে পথহারা হকাররা, বন্যার তোড়ে বেসামাল জীবনের চাকা
দ্রুত ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হবে বলে আশা হকারদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2022 | 4:20 PM

কোচবিহার : প্রায় ফাঁকা স্টেশন। ইতিউতি বসে রয়েছেন কয়েকজন যাত্রী। কয়েকটা পায়রা প্ল্যাটফর্মে উড়ে এসে বসেছে। আর সেই প্ল্যাটফর্মে বসে রয়েছেন কয়েকজন হকার। চোখে-মুখে চিন্তার ছাপ। তাঁদের চোখের সামনে যেন ভেসে উঠছে লকডাউনের দিনগুলির কথা। এখন অবশ্য লকডাউন নেই। কিন্তু, ট্রেনের গতি যেন আচমকা রুদ্ধ হয়েছে গত কয়েকদিনে। উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে ট্রেনের হুইসেলের শব্দ তেমন শোনা যায়নি। তার কারণ, অসমের বন্যা পরিস্থিতি আর কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় বিক্ষোভ। ট্রেনের গতি রুদ্ধ হওয়ায় পেটে টান পড়েছে হকারদের।

আজ সকালে নিউ কোচবিহার স্টেশনে গিয়ে দেখা গেল, স্টেশন প্রায় ফাঁকা। একাধিক ট্রেন বাতিল হয়েছে বন্যা ও বিহারে অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জেরে। বাতিল হয়েছে হাওড়া-ডিব্রুগড় কামরূপ এক্সপ্রেস, নিউ দিল্লি গুয়াহাটি অবোধ অসম এক্সপ্রেস, দিল্লি গুয়াহাটি ব্রহ্মপুত্র মেল সহ একাধিক ট্রেন। রাজধানী এক্সপ্রেস-সহ কয়েকটি ট্রেনকে গোয়ালপাড়া স্টেশন দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেকেন্দরাবাদ-হাওড়া এক্সপ্রেস নির্দিষ্ট সময় থেকে বেশ কিছুক্ষণ দেরিতে চলছে।

Hawker

নিউ কোচবিহার স্টেশন ফাঁকা, ঘুরে বেড়াচ্ছে পায়রা

ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় যাত্রীরা সমস্যায় পড়ছেন। গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি সময়ে। আর যাত্রীরা স্টেশনে না আসায় চিন্তায় পড়েছেন হকাররা। ট্রেনে হকারি করেই তাঁদের সংসার চলে। বলতে গেলে, দিন আনি দিন খাই অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিনে বেশিরভাগ ট্রেন বন্ধ। সুজিত রায় নামে এক হকার বলেন, “স্টেশন ফাঁকা। যাত্রী নেই। কোনও বিক্রিবাটা হচ্ছে না। সংসার চলবে কী করে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছি।”

হরি দাস নামে আর এক হকার বলেন, “আতঙ্কে যাত্রীরা আসছেন না। একটা-দুটো গাড়ি চলছে। বেশিরভাগ দূরপাল্লার ট্রেন বন্ধ।” নিউ কোচবিহার স্টেশনের এক দোকানদার বলেন, লকডাউন ছাড়া এমন পরিস্থিতি কখনও হয়নি। হতাশ গলায় হকাররা বলছেন, ট্রেন না চললে খাব কী?

সেনাবাহিনীতে নিয়োগ নিয়ে অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় দেশের একাধিক প্রান্তে বিক্ষোভ চলছে। বিহারে ট্রেন পোড়ানো হয়েছে। তার জেরে ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়। বাতিল করা হয়েছে অনেক ট্রেন। হকাররা প্রশ্ন তোলেন, যাঁরা দেশ রক্ষার কাজে যোগ দেবেন, তাঁরা কি ট্রেনে আগুন ধরান ?

অসমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ট্রেন পরিষেবা আরও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে আজ দু-একটি ট্রেন চালু হয়েছে। এতে আশার আলো দেখছেন হকাররা। তাঁদের আশা, খুব শিগগির পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। সেই আশা নিয়েই স্টেশনে আসা দূরপাল্লার ট্রেনের কামরায় উঠে গেলেন হকাররা।