AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

CM Mamata Banerjee: ‘দয়া চাই না’, ভরা জনসভায় দিল্লির চিঠি কুচিকুচি করে ছিঁড়ে ফেললেন মমতা

Mamata in Cooch Behar: বাংলা যে ধীরে ধীরে নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে, বাংলার সরকার একাধিক জনমুখী প্রকল্প সামনে আনছে তারও খতিয়ান এদিন তুলে ধরেন কিনি। এরপরই কার্যত হুঙ্কারের সুরে বলেন, “বাংলা কোনওদিন মাথানত করেননি এবং করবেও না। বাংলা মাথা উঁচু করে চলতে জানে।”

CM Mamata Banerjee:  'দয়া চাই না', ভরা জনসভায় দিল্লির চিঠি কুচিকুচি করে ছিঁড়ে ফেললেন মমতা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়Image Credit: Social Media
| Updated on: Dec 09, 2025 | 2:33 PM
Share

কোচবিহার: এদিন কোচবিহার থেকে ফের একবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সরব হতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। একশোদিনের টাকা থেকে আবাস যোজনার টাকা আটাকে রাখা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। মমতার সাফ কথা, টাকা দিতে শর্ত চাপাচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের লেবার বাজেটের শর্ত তিনি কোনওভাবেই মানছেন না। এদিন মঞ্চে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্রের চিঠিও ছিঁড়ে ফেলতে দেখা যায় তাঁকে। বলেন, “এখন এসআইআর হচ্ছে। এখন আপনি ডিসেম্বর মাসে যদি কিছু দেনও তাহলে মার্চ মাসে বাজেট শেষ। অর্থবর্ষ শেষ। তখন বলবেন করতে পারল না। কারণ আপনি তো করতে দেননি। দু’মাসে টেন্ডার করে সবকিছু হয় না।” 

বঞ্চনা নিয়ে সুর চড়িয়ে বলেন, “একশোদিনের কাজ কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। ৭টা জেলার জন্য ভোট নেয় ওরা কিন্তু কাজটা করি আমরা। আমরা প্রায় অনেকগুলো চা বাগান খুলে দিয়েছি। কিন্তু হিংসার তো কোনও ওষুধ হয় না, একশোদিনের কাজ ৪ বছর বন্ধ করে দিয়েছে, আবাস যোজনা বন্ধ করে দিয়েছে, গ্রামীণ রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।” 

তবে বাংলা যে ধীরে ধীরে নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে, বাংলার সরকার একাধিক জনমুখী প্রকল্প সামনে আনছে তারও খতিয়ান এদিন তুলে ধরেন কিনি। এরপরই কার্যত হুঙ্কারের সুরে বলেন, “বাংলা কোনওদিন মাথানত করেননি এবং করবেও না। বাংলা মাথা উঁচু করে চলতে জানে।” এরপরই কেন্দ্রের অর্ডার নিয়ে বলতে গিয়ে তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “হঠাৎ করে একটা চিঠি দিয়েছে আমাদের। তাতে বলছে কোয়ার্টারলি লেবার বাজেট দেখাতে হবে। বলছে ট্রেনিং দিতে হবে, তারপর কাজ দিতে হবে। কিন্তু কবে ট্রেনিং দেবেন? কবে কাজ দেবেন? আমি বলছি এই কাগজের কোনও মূল্য নেই। একশোদিনের কাজ বাংলাই করবে। তোমাদের ভিক্ষা আমরা চাই না।” আর কথা বলতে বলতেই সকলের সামনেই কেন্দ্রের অর্ডারের কপি টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলেন তিনি।