Mamata Banerjee in Cooch Behar: ‘প্রবীণদের নিয়ে চলতে হবে…’, রবীন্দ্রনাথ-উদয়ন দ্বন্দ্বে ‘দাওয়াই’ মমতার
Mamata Banerjee Meeting: মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রনাথ-উদয়ন। সঙ্গে ছিলেন সাংসদ জগদীশ বর্মা বসুনিয়া এবং গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বংশী বদন বর্মন। ওই বৈঠকেই দলের মধ্য়ে চলা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে দাওয়াই দিয়েছেন মমতা।

কোচবিহার: একজন প্রাক্তন মন্ত্রী, অন্যজন বর্তমান। উভয়েই প্রথমসারির নেতা। যাদের ঘিরে বিড়ম্বনায় তৃণমূল। তাও আবার সুপ্রিমো যখন গিয়েছেন কোচবিহার সফরে। দোড়গোড়ায় ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে মেরুর একদিকে উদয়ন, অন্যদিক রবীন্দ্রনাথ। আর এই দ্বন্দ্ব দেখে চটে গেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
সোমবার কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকাল নাগাদ প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা ছিল না। তবে সূত্রের খবর, এদিন রাতে নিজের সার্কিট হাউসে জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানেই প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং বর্তমান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর মধ্যে হওয়া আকচাআকচি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তিনি। দ্বন্দ্ব মেটাতে দিয়েছেন কড়া বার্তা।
মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রনাথ-উদয়ন। সঙ্গে ছিলেন সাংসদ জগদীশ বর্মা বসুনিয়া এবং গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বংশী বদন বর্মন। ওই বৈঠকেই দলের মধ্য়ে চলা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে দাওয়াই দিয়েছেন মমতা। সূত্রের খবর, প্রবীণ-নবীন দ্বন্দ্বে ইতি টানার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বার্তা দিয়েছেন, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ-সহ দলের সকল প্রবীণদের সঙ্গে নিয়ে চলার।
লোকসভার ফলাফল বলছে, কোচবিহারের ৯টি বিধানসভার মধ্য়ে ৫টিতে বিজেপির থেকে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। বাকি চারটি বিধানসভা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের দখলে। বরাবরই উত্তরবঙ্গের অঙ্কে কাঁচা রাজ্য়ের শাসকশিবির। তবে লোকসভা নির্বাচনে সেই অপবাদ অনেকটাই ঘোঁচাতে সক্ষম হয়েছিল তাঁরা। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে পুরনো অপবাদই আবার ঘিরে ধরবে না তো তৃণমূলকে? প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
