সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছে স্কুল, বালাই নেই দূরত্ব বিধিরও!

School: সরকারি নির্দেশ অগ্রাহ্য করে লকডাউনের মধ্যে কচিকাঁচাদের নিয়ে চলছে স্কুল। বালুরঘাটের পর এবার একই ছবি দেখা গেল দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারীতে।

সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছে স্কুল, বালাই নেই দূরত্ব বিধিরও!
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2021 | 3:59 PM

বংশীহারী: সরকারি নির্দেশ অগ্রাহ্য করে লকডাউনের মধ্যে কচিকাঁচাদের নিয়ে চলছে স্কুল। বালুরঘাটের পর এবার একই ছবি দেখা গেল দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারীতে। সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে এক বেসরকারি স্কুল।

কোচিং দেওয়ার নাম করে রমরমিয়ে চলছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার ডিটলহাট এলাকার বেসরকারি স্কুল রামকৃষ্ণ শিশু নিকেতন। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনের নজর এড়িয়ে চলছে ওই স্কুল। এদিকে স্কুল তো চলছেই, সেখানে মানা হচ্ছে না কোনও রকম কোভিড বিধিনিষেধও।

বেশির ভাগ পড়ুয়াদের মুখে মাস্কের বালাই নেই। ক্লাস নেওয়ার সময়ও সামাজিক দূরত্ববাধা মানা হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতিতে কোনও নিয়মই মানা হচ্ছে না ওই স্কুলে বলে অভিযোগ। এমনকি এদিন ক্লাস নেওয়ার সময় এক শিক্ষিকার মুখেও মাস্ক দেখা যায়নি।

করোনার তৃতীয় ঢেউ যখন দুয়ারে কড়া নাড়ছে, ঠিক সেই সময় চরম গাফিলতির ছবি ধরা পড়ল বংশীহারী এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ডিটলহাট এলাকার ওই একটি বেসরকারি স্কুলে। এই বেসরকারি এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১০০-র উপর। অবশ্য সব ছাত্রছাত্রীই নিয়মিত ক্লাসে আসছে না। অল্প সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়েই চলছে স্কুল। কিন্তু গ্রামের বেসরকারি স্কুলে ঘরের অভাব রয়েছে ফলে একটা ঘরে গাদাগাদি করে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বসাচ্ছে হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।

একদিকে করোনার রক্তচক্ষু অন্যদিকে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পকেট টান। এই দুয়ের মাঝখানে পড়ে কর্তৃপক্ষ দিশেহারা। কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, শুধুমাত্র পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ডাকা হয়েছিল ছাত্র-ছাত্রীদের। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বিগত কয়েকদিন ধরেই রমরমিয়ে চলছে স্কুল।

এবিষয়ে বংশীহারী ব্লকের বিডিও সুদেষ্ণা পাল বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। এর আগেও বালুরঘাটে একটি বেসরকারি স্কুলে ঠিক একইরকম ভাবেই সরকারি নির্দেশের তোয়াক্কা না করে অফলাইন বা ক্লাসের মধ্যে পঠন-পাঠন শুরু করার অভিযোগ উঠেছিল। সেখানেও মানা হয়নি দূরত্ব বিধি। ফলে তৃতীয় ঢেউ আসার আগে যখন স্বাস্থ্য দফতর, চিকিৎসক এবং গবেষকরা মনে করছেন, শিশুদের জন্য এই ঢেউ মারাত্মক হতে চলেছে তখন বেসরকারি স্কুলগুলোর এধরনের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে প্রশাসনিক নজরদারির কতটা চলছে জেলায়, তার ওপর। আরও পড়ুন: দরজার পাশেই ক্যালেন্ডারে চোখ পড়তেই দেখা যায় কী যেন একটা উঁকি দিচ্ছে! স্কুল খুলতেই ‘কোটি টাকার সম্পত্তি’…