Balurghat Pujo: ওঁরা সক্কলেই সত্তরোর্ধ্ব, পুরসভাই ওঁদের করাল প্যান্ডেল-হপিং
Balurghat Pujo: জানা গেছে, এদিন ষষ্ঠীর দুপুরে সারা শহরের ২৫ টি ওয়ার্ডের প্রায় ৩০০ জন দুঃস্থ ও প্রবীণ নাগরিকদের পুজো পরিক্রমার সুযোগ করে দেওয়া হয়।
দক্ষিণ দিনাজপুর: মনের ইচ্ছে প্রবল। তবে শরীরে নেই বল। ইচ্ছে থাকলেও আর ওঁদের ঠাকুর দেখা হয়ে ওঠে না৷ কারণ ওদের কারোর বয়স ৭০, আবার কারোর ৭৫। ইচ্ছে করলেও কোন উপায় নেই। তবে এবার বালুরঘাট শহরের প্রবীণ নাগরিকদের ঠাকুর দেখার সুযোগ করেছে বালুরঘাট পুরসভা কর্তৃপক্ষ। বালুরঘাট পুরসভার তরফ থেকে ঠাকুর দেখার ব্যবস্থা করা হয়। বালুরঘাট শহরের ২৫ টি ওয়ার্ডের প্রায় ৩০০ জনকে নিয়ে এই প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। দুপুরে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বালুরঘাট পুরসভার সামনে থেকে এই প্রবীণদের পুজো পরিক্রমার শুভ উদ্ধোধন করা হয়৷ যেখানে উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক কুমার মিত্র-সহ অন্যান্য পুরসভার জনপ্রতিনিধিরা।
জানা গেছে, এদিন ষষ্ঠীর দুপুরে সারা শহরের ২৫ টি ওয়ার্ডের প্রায় ৩০০ জন দুঃস্থ ও প্রবীণ নাগরিকদের পুজো পরিক্রমার সুযোগ করে দেওয়া হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্যে চারটি করে টোটোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন এমন দুঃস্থ প্রবীণ নাগরিকদের পরিবারের তরফ থেকে আগেই নাম সংগ্রহের কর্মসূচি পালিত হয়েছিল।
এদিন সেই তালিকা অনুযায়ী পুরসভার প্রবীণ নাগরিক ও তার পরিবারের একজন সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে শহরের বিভিন্ন মণ্ডপে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে প্রতিমা দেখানোর ব্যাবস্থা করা হয়। এদিন সারা শহর থেকে টোটোতে চাপিয়ে, পূজো দেখতে ইচ্ছুক আর নাগরিকদের বালুরঘাট পুরসভার সামনে আনা হয়েছিল। সেখানে জল ও টিফিনের প্যাকেট সহ তাদের রওনা করিয়ে দেওয়া হয়।
ঠাকুর দেখা শেষে পুরসভার পক্ষ থেকে শহরের প্রবীণ নাগরিকদের মিষ্টিমুখ করিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়।
বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক কুমার মিত্র বলেন, “বাঙালির দুর্গাপুজো নিয়ে আলাদা আবেগ রয়েছে। পুজো নিয়ে প্রতিটা মানুষের মধ্যে একটা আশা থেকেই যায়। তাই আমরা শহরের দুঃস্থ প্রবীণ নাগরিকদের প্রতিমা দর্শনের সুযোগ করে দিতে চেয়েছি।”
মালঞ্চ অগ্রগামী যুবক দলের পক্ষ থেকে মালঞ্চা ও মালঞ্চা সংলগ্ন এলাকার প্রবীণ নাগরিকদের নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়ার পর তাদের বালুরঘাট শহরে টোটো করে পুজো পরিক্রমা ব্যবস্থা করা হয়।