Balurghat: তাসের ঘর যেন বালুরঘাট! ভিটেমাটি তো চাটিই, এবার গিলে খাচ্ছে শ্মশানও

Flood: গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর জল অনেকটাই বেড়েছে।

Balurghat: তাসের ঘর যেন বালুরঘাট! ভিটেমাটি তো চাটিই, এবার গিলে খাচ্ছে শ্মশানও
বন্যার আতঙ্কে বালুরঘাট বাসী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 22, 2021 | 12:28 PM

বালুরঘাট: গত কয়েকদিনের বৃষ্টি। আর জেরেই বেড়ে গিয়েছে জল। ফলে কাশিয়া খাঁড়িয়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। খাঁড়ি গর্ভে যেতে শুরু করেছে গ্রামের ভিটেমাটি থেকে গাছপালা।

গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর জল অনেকটাই বেড়েছে। এদিকে আত্রেয়ী নদীর জল বাড়তেই নদী সংযোগকারী কাশিয়া খাঁড়ির জলও বাড়তে শুরু করেছে ৷ রাতারাতি অনেকটাই জল বেড়েছে। এমন ভাবে জল বাড়লে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বালুরঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকায়।

কাশিয়া খাঁড়ির জল বেড়ে যাওয়ার ফলে খাঁড়িতে ভাঙন দেখা দিয়েছে । বিষয়টি নজরে আসতেই এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। কাশিয়া খাঁড়ি ভাঙনের মুখে এলাকার একমাত্র শ্মশান সহ গ্রামের একাংশ। এমত অবস্থায় স্থানীয়দের দাবি অবিলম্বে কাশিয়া খাঁড়ি ভাঙন রুখতে ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।

এক এলাকাবাসী জানিয়েছেন, “খাঁড়িতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সরকার থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একাধিকবার বিডিয়ো অফিসে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কোনও লাভ হয়নি। এখন খাঁড়ি ভাঙতে-ভাঙতে আমাদের বাড়ি পর্যন্ত চলে এসেছে। চিন্তায় আছি। আতঙ্কে রাতের খাওয়া, ঘুম সব উড়েছে। দ্রুত বাঁধের মরামতির ব্যবস্থা না করলে আমাদের সব ভেসে যাবে। আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব ”

প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন বালুরঘাট ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। এদিকে পাহাড়ের জল নেমে আসতেই অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে আত্রেয়ী নদীর জল। আর আত্রেয়ী নদীর জল বাড়তেই গঙ্গাসাগর এলাকায় থাকা কাশিয়া খাঁড়ির জল বেড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে কাশিয়া খাঁড়িতে চলে গিয়েছে এলাকার বেশ কিছু গাছ সহ ভিটেমাটি। এমতাবস্থায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা৷ যদিও এখনও এলাকায় সরকারের পক্ষ থেকে কেউ আসেনি বা এলাকা পরিদর্শন করেনি বলে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, আজ বলে নয় ২০১৭ সাল থেকেই খাঁড়ি ভাঙন শুরু হয়েছে। বারবার প্রশাসনকে জানানো হলেও প্রশাসন খাঁড়ি বাঁধ দেওয়ার বিষয়ে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করেনি।

এদিকে, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ক্রমাগত খারাপ হয়েছে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেখানে। অঝোর বৃষ্টিতে ধস নেমে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিল জনজীবন।

জলস্ফীতি কমতেই লাল সতর্কতা উঠে গেল নদীর দুই পার থেকে। তবে এবার খেল শুরু কুয়াশার।

আজ ভোরবেলা থেকেই ধূপগুড়ি (Dhupguri) সহ ডুয়ার্সের জাতীয় সড়ক থেকে রাজ্য সড়ক কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায়। সঙ্গে অনুভূত হয় হালকা ঠাণ্ডা বাতাস। ধূপগুড়ি সহ ডুয়ার্সের জাতীয় সড়ক থেকে রাজ্য সড়ক কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় গোটা এলাকা। এদিকে শীতের আমেজ পেতেই খুশি সাধারণ মানুষ থেকে পর্যটক। অনেকেই বলছেন আরও আগে শীত আসা উচিত ছিল। আবহাওয়া খামখেয়ালীপনার জন্যই অনেক দেরিতে শীত এল ডুয়ার্সে ।

আরও পড়ুন: Ghatal: পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি! জল কমতেই ঠোঁটের কোণে হাসি ঘাটালবাসীর