Loss of vegetable cultivation: শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি সর্ষে আর আলুর, দুর্বিসহ অবস্থায় কৃষকরা

South Dinajpur: বালুরঘাটে এক-এক জায়গায় এক-এক রকম বৃষ্টি হয়েছে। যেখানে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সেখানে নুইয়ে পড়েছে সর্ষে গাছ

Loss of vegetable cultivation: শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি সর্ষে আর আলুর, দুর্বিসহ অবস্থায় কৃষকরা
সর্ষে চাষে ব্যপক ক্ষতি (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 14, 2022 | 8:47 PM

তপন: দু’দিনের বৃষ্টি ও ঘণ্টাখানেকের শিলাবৃষ্টিতে বালুরঘাট, হিলি ও তপন ব্লকের এলাকায় সর্ষে ও আলুর চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। তবে বিক্ষিপ্তভাবে এই শিলাবৃষ্টির পরিমাণ বিভিন্ন এলাকায় ভিন্ন ছিল। তার জেরে যেসমস্ত এলাকায় শিলাবৃষ্টি বেশি হয়েছে, সেই এলাকাগুলিতে আলু এবং সর্ষের গাছ জমিতে নুইয়ে পড়েছে । তবে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত একইরকম মেঘলা আবহাওয়া থাকবে। বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। যার ফলে আলু চাষের ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়ছে। চিন্তায় পড়ছেন কৃষকরা।

জানা গিয়েছে, পশ্চিমি ঝঞ্জার কারণে রাজ্যে শীত উধাও হয়ে গিয়েছে। বালুরঘাট মাঝিয়ান আবহাওয়া পর্যবেক্ষক কেন্দ্র থেকে জানা গিয়েছে, বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে মাঝিয়ান থেকে আগেই ১২ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি হালকা, মাঝারি ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। সেই মত বৃষ্টিপাত শুরু হয় জেলার বিভিন্ন অংশে। বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়। দুদিন ধরে চলে বৃষ্টি। কখন মাঝারি আবার কখনও একটু ভারি। বিশেষ করে বালুরঘাট ব্লকের হাতিশালা, ডাঙা, বোয়ালদার সহ বিভিন্ন এলাকায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়। পাশাপাশি তপনের রামচন্দ্রপুর, সাইকোইর, সহ বিভিন্ন এলাকা এবং হিলির বিনশিরাতেও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, এই শিলাবৃষ্টিতে সর্ষের গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যেগুলির ফুল এসেছিল, যা ঝড়ে পড়েছে এবং ভেঙে পড়েছে। এছাড়াও আলুর গাছের ক্ষতি হয়। এই আবহাওয়ার কারণে এখন আলুর নাবী ধ্বসা বা লেট ব্লাইট রোগের আক্রমণের সম্ভাবণা বাড়ছে। তবে এই দুইদিন কৃষকদের নানাভাবে সতর্ক ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে জানিয়েছেন কৃষি দফতর।

এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কৃষি দপ্তরের সহ কৃষি অধিকর্তা পার্থ সারথী মুখোপাধ্যায় বলেন, “গতকালের শিলাবৃষ্টির ফলে আলু ও সর্ষের ক্ষতি হয়েছে। তবে এখনই ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ বলা মুশকিল। কয়েকদিন গেলে তা বোঝা যাবে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন এই বৃষ্টিতে লাভও হতে পারে বিভিন্ন চাষে।”

তপন ব্লকের সাকোইর এলাকার এক ক্ষতিগ্রস্ত চাষী ননিগোপাল বর্মণ বলেন, “রাতে প্রচন্ড শিলাবৃষ্টি এবং ঝোড়a হাওয়া হয়েছে। যার ফলে আমাদের জমির সর্ষের ক্ষতি হয়েছে। প্রায় দুই বিঘা জমি জুড়ে আমাদের সর্ষের গাছগুলি ভেঙে গেছে। এছাড়াও অনেক গাছ দুই টুকরো হয়ে গিয়েছে। এগুলিকে আর বাঁচানো যাবে না। তাই সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জি জানাই।”

আরও পড়ুন: Madan Mitra on Kalyan Banerjee: অভিষেক ‘অর্জুন’, মমতা ‘কৃষ্ণ’, মদনের চোখে তৃণমূলের মহাভারত-তত্ত্ব