Bangsihari Death: ‘তোর বাবা বাঁচবে না, কালা জাদু করেছি…’, পরের ঘটনা শিউরে ওঠার মতো
South Dinajpur: জানা গিয়েছে, করখা ঢেলপীড় এলাকার মিলন বাস্কের বাবা ফাগু বাস্কে বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ রয়েছেন। অনেক চিকিৎসা করিয়েও রোগ সারেনি।
বালুরঘাট: নিজের বাবাকে অনেকক্ষণ ধরেই কটূক্তি করছিল মামা। সঙ্গে ক্রমাগত দিয়ে যাচ্ছিল অভিশাপ। মানতে পারেননি ছেলে। সকাল হতেই কুড়ুল নিয়ে পিটিয়ে মারল মামাকে। গোটা ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এক ব্যক্তিকে কুড়ুল দিয়ে পিটিয়ে খুন করল প্রতিবেশীরা। মূল অভিযুক্ত নিজের ভাগ্নে। শুধু তাই নয়, খুন করার পর খুনে ব্যবহৃত কুড়ুল নিয়ে অভিযুক্ত ভাগ্নে বংশীহারী থানায় আত্মসমর্পণও করে। বুধবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার অন্তর্গত করখা ঢেলপীড় এলাকায়। মৃতের নাম লক্ষ্মণরাম হেমব্রম (৪৮)। বিষয়টি জানাজানি হতেই বংশীহারী থানার পুলিশ তড়িঘড়ি ওই এলাকা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ দিকে, খুন করার পর বংশীহারী থানায় মিলন বাস্কে নামে অভিযুক্ত ভাগ্নে আত্মসমর্পণ করে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বংশীহারী থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, করখা ঢেলপীড় এলাকার মিলন বাস্কের বাবা ফাগু বাস্কে বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ রয়েছেন। অনেক চিকিৎসা করিয়েও রোগ সারেনি। অভিযোগ, গতকাল রাতে মদ্যপ অবস্থায় গ্রামের ঢেলপীড় এলাকার মিলন বাস্কের বাড়ির সামনে মৃত লক্ষ্মণরাম হেমব্রম যায়। এবং সেখানে চিৎকার করে বলতে থাকে তাঁর অসুস্থ বাবা বাঁচবে না। কালাজাদু করেছে সে ৷ এদিকে, এই বিষয়টি জানাজানি হতেই এদিন সকালবেলা মামা লক্ষ্মণরামকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে কালু জাদু করার অপবাদে মারধর করে। অভিযোগ, বিষয়টি জানতে পেরে সেই সময় মিলন বাস্কে কুড়ুল দিয়ে অভিযুক্তের মাথায় বাড়ি দেয়। যার ফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এরপর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এদিকে লক্ষ্মণরামকে খুন করার পরই অভিযুক্ত মিলন বংশীহারী থানায় আত্মসমর্পণ করেন। এদিকে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় ঘটনাস্থলে মোতায়েন থাকে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, মৃত ব্যক্তি আত্মসমর্পণকারীর মামা হয়। এ দিকে ঘটনায় পুলিশ খুনে ব্যবহৃত কুড়ুল ও রক্তাক্ত জামা উদ্ধার করেছে ৷ ধৃতকে আজ গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। পাশাপাশি পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে জানিয়েছেন ৷