সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল, অফলাইনেই ক্লাস শিশুদের! বিতর্কে বেসরকারি বিদ্যালয়

School: ওই স্কুলে দেখা যায় একেবারে সাধারণ দিনের মতোই অফলাইনে ক্লাস হয়ে চলেছে। উপস্থিত রয়েছেন শিক্ষিকারা। উপস্থিত পড়ুয়ারাও। মুখে মাস্কের বালাই নেই।

সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল, অফলাইনেই ক্লাস শিশুদের! বিতর্কে বেসরকারি বিদ্যালয়
ওই স্কুলের একটি ক্লাসঘরে চলছে ক্লাস, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2021 | 12:33 AM

দক্ষিণ দিনাজপুর: সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রীতিমতো শিশুদের নিয়ে অফলাইন ক্লাস করালেন শিক্ষিকারা। বুধবার, বালুরঘাটের কলেজ মোড় সংলগ্ন এলাকায় অভিযাত্রী শিশু বিদ্যা নিকেতন নামের একটি বেসরকারি শিশু শিক্ষা নিকেতনে অফলাইনে ক্লাস (Offline Class) করানোর ছবি উঠে এল TV9-এর ক্যামেরায়। সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতির জেরেই তড়িঘড়ি বন্ধ হল ক্লাস। স্কুল ছেড়ে চলে গেলেন শিক্ষিকারা। পড়ুয়াদের নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিলেন অভিভাবকেরাও।

এদিন, ওই স্কুলে দেখা যায় একেবারে সাধারণ দিনের মতোই অফলাইনে ক্লাস (Offline Class) হয়ে চলেছে। উপস্থিত রয়েছেন শিক্ষিকারা। উপস্থিত পড়ুয়ারাও। কারোর গলায় ঝুলছে মাস্ক, তো কারোর মুখে মাস্কই নেই। দূরত্ববিধিও যে বিশেষ মান্যতা পেয়েছে তা বলা যাবে না। বর্তমানে, যখন ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ এবং করোনার তৃতীয় ঢেউ আসন্ন, তখন কী করে  এইভাবে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ক্লাস করানো চলছে? অভিভাবকেরাই বা কীভাবে শিশুদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। যদিও, অভিভাবকদের দাবি, বাড়িতে শিশুদের নিয়ে আর ‘পেরে উঠছিলেন না’ তাঁরা। অগত্যা বাধ্য হয়েই স্কুলে নিয়ে এসেছেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রুপালি সাহা বলেন, “অভিভাবকদের চাপে পড়ে স্কুলের ক্লাস চলছে। স্কুল খোলার বিষয়ে অনুমতি আদৌও রয়েছে কিনা তা স্কুল কর্তৃপক্ষই বলতে পারবেন।” অপরদিকে স্কুল খোলা প্রসঙ্গে অভিযাত্রী শিশু বিদ্যা নিকেতনের সম্পাদক সুমিত চক্রবর্তী সাফাইয়ের সুরে বলেন, “স্কুল খোলেনি, অনলাইনের ক্লাসের স্টাডি ম্যাটেরিয়াল দেওয়া হচ্ছিল। তাই ওইদিন শিশুদের ও অভিভাবকদের স্কুলে আসতে বলা হয়েছিল।” যদিও, স্কুলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

ঘটনায়, অতিরিক্ত জেলা শাসক  শ্রী বিবেক কুমার বলেন, “ঘটনাটির কথা কানে এসেছে। যা হয়েছে তা ঠিক নয়। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” অন্যদিকে, সিএমওএইচ রমেশ কিস্কু বলেন, “স্কুল খোলার মতো এখনও কোনও নির্দেশিকা আসেনি। যদি সত্যিই এই ঘটনা ঘটে থাকে তা অন্যায় হয়েছে। এইভাবে সরকারি ও প্রশাসনিক নির্দেশ ব্যতীত স্কুল খোলা উচিত হয়নি।”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি, আইসিএমআরের পক্ষ থেকে প্রাইমারি স্কুল খোলার প্রস্তাব দেওয়া হলেও রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতরের তরফে এখনও এমন কোনও ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। স্কুল খোলার পক্ষে আইসিএমআরের যুক্তি ছিল, শিশুদের অনাক্রম্যতা অনেক বেশি। যারফলে সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বেশি। করোনা সংক্রমণকে প্রতিহত করতেই সক্ষম তারা। কিন্তু, গবেষণা বলছে, করোনার আসন্ন তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদেরও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। পরে কী পরিস্থিতি হতে পারে বা হতে চলেছে সে বিষয়ে না জেনেই কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না রাজ্য  শিক্ষা দফতর। আপাতত তাই স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তই বহাল রয়েছে। আরও পড়ুন: ‘অতি বিপজ্জনক’ কালিম্পং! উত্তরবঙ্গে কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলতেই সতর্ক পদক্ষেপ জেলায় জেলায়