Kumarganj: শায়েস্তা করতে দা-এর কোপে মদ্যপ স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে নিলেন স্ত্রী

Crime: মাস দুয়েক আগে ভালোবেসে করে বিয়ে করে লোকনাথ।

Kumarganj: শায়েস্তা করতে দা-এর কোপে মদ্যপ স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে নিলেন স্ত্রী
স্বামীর যৌনাঙ্গ কাটলেন স্ত্রী (প্রতীকী ছবি।)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 22, 2021 | 1:08 PM

কুমারগঞ্জ: একাধিকবার মদ খেতে নিষেধ করেছিল স্ত্রী। কিন্তু সেই কথায় কান দেয়নি স্বামী। আর তারপরই চরম শাস্তি। রাতের বেলা ঘুমিয়ে থাকার সময়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় স্ত্রী এবং শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হয়।

এদিকে, গুরুতর জখম অবস্থায় লোকনাথ মার্ডি (২০) নামে ওই যুবক বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ধৃত মহিলা ও তার বাবাকে আদালতে তোলা হলে ৮ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী ২৯ তারিখ তাদের ফের তোলা হবে আদালতে।

জানা গিয়েছে, কুমারগঞ্জ ব্লকের মোহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা লোকনাথ মার্ডি। পেশায় সে রাজমিস্ত্রি। বাড়িতে স্ত্রী ও বাবা মা রয়েছে। মাস দুয়েক আগেই ভালোবেসে করে বিয়ে করে লোকনাথ। কিন্তু তাতে কী! বিয়ের পর থেকে বিবাদ লেগেই থাকত ওই দম্পতির মধ্যে। এরপর গত ১৮ তারিখ রাতে পারিবারিক বিবাদ শুরু হয় দম্পতির মধ্যে। অভিযোগ, ওই দিন রাতেই ঘুমানোর সময় দা দিয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় স্ত্রী । বিছানা থেকে মাটির দেওয়াল রক্ত ভরে যায়।

লোকনাথের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। দেখেন মাটিতে শুয়ে ছটফট করছে সে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে প্রথমে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও সেদিন রাতেই তাকে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ১৯ তারিখ কুমারগঞ্জ থানায় জখম লোকনাথের বাবা লক্ষ্মণ মার্ডি পুত্রবধূ ও ছেলের শ্বশুর এবং শাশুড়ির নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেতেই ১৯ তারিখেই ছেলের শ্বশুর বিমল হাঁসদাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বুধবার বালুরঘাট থানায় আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত স্ত্রী। পরে সেদিন রাতেই অভিযুক্ত মহিলাকে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ গ্রেফতার করে ৷ বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করে পুলিশ ৷ গতকালই ধৃতদের বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলে পুলিশ। এদিকে বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে জখম ওই যুবক। কেন এমন ঘটনা ঘটালো অভিযুক্ত মহিলা তার তদন্তে নেমেছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ।

এই বিষয়ে জখম যুবকের বাবা লক্ষ্মণ মার্ডি বলেন, “বিষয়টি জানতে পেরে ছেলেকে চিকিৎসার জন্য সকলে নিয়ে যায়। বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে ছেলে ও তাদের সঙ্গে ঝামেলা করত তাঁর পুত্রবধূ ৷ এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি আমি । এখনও পর্যন্ত দু’জনকে পুলিশ ধরেছে ৷ অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। অন্যদিকে কুমারগঞ্জ থানার আইসি সুজয় ব্যানার্জি পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ৷

আরও পড়ুন: Balurghat: তাসের ঘর যেন বালুরঘাট! ভিটেমাটি তো চাটিই, এবার গিলে খাচ্ছে শ্মশানও