Siliguri: রাত তখন আড়াইটে! কলবুকে নার্সের উদ্দেশে একটা শব্দেই বার্তা পাঠালেন ডাক্তার! মেডিক্যাল হাসপাতালেই কিনা… কী সেই শব্দ?
Siliguri: হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৭ জানুয়ারি। প্রসূতি বিভাগে অন ডিউটি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নার্সদের অভিযোগ, এক রোগীকে ক্যাথিটার পরানো নিয়ে কিছু মত বিনিময়ের পর হঠাৎ তাঁরা দেখেন কলবুকে লেখা 'ইডিয়ট'।

শিলিগুড়ি: এক প্রসূতির ক্যাথিটার বদলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসক। কল-বুকে সে কথা লিখেও দিয়েছিলেন। কিন্তু নার্সরা দেখতে রোগীকে দেখতে এসে দেখেন, ওই প্রসূতিকে ক্যাথিটার পরানোই নেই। সেটাই আবার কল-বুকে লিখে ফেলেন নার্সরা। তারপর কলবুকে তাঁরা লেখা দেখলেন ‘Idiot’। কে লিখলেন? অভিযোগ, চিকিৎসকই কর্তব্যরত নার্সের উদ্দেশে এ কথা লিখেছেন। আর তাতেই ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা। মেডিক্যাল সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান নার্সরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৭ জানুয়ারি। প্রসূতি বিভাগে অন ডিউটি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নার্সদের অভিযোগ, এক রোগীকে ক্যাথিটার পরানো নিয়ে কিছু মত বিনিময়ের পর হঠাৎ তাঁরা দেখেন কলবুকে লেখা ‘ইডিয়ট’। এক নার্সের বক্তব্য, “আমাদের ধারণা সেদিন অনডিউটি চিকিৎসক এই মন্তব্য লিখেছেন। এর জেরে সমস্ত নার্সদের অপমান করা হয়েছে। আমরা সুপারকে লিখিত জানালাম।”
ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মেডিকেল সুপার সঞ্জয় মল্লিক। সুপার নার্সদের বলেন, “এটা তো পুরোটাই ইউনিট ও টিমের মধ্যে ব্যাপার। আপনারা কি তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।” নার্সরা জানান, ‘আলোচনায় কোনও রফা বেরোয়নি।’ সুপার বলেন, “আমাকে তাহলে এইচওডি-কে ডেকেই গোটা বিষয়টি শুনতে হবে। ” অভিযোগ, কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউনিট ওয়ান বি-র বিরুদ্ধে। নার্সদের সামনেই এইচওডি-র সঙ্গে কথা বলেন সুপার।
এক নার্স বলেন, “২৭ তারিখ রাত আড়াইটের সময়ে অন ডিউটি নার্স ডাক্তারকে কল বুক দিয়েছিলেন। লেবার রুমে এক রোগীর ইউরিন পাস হচ্ছে না। তাতে ডাক্তার পরামর্শ দেন, ক্যাথিটার বদলে দেওয়া জন্য। নার্স তাতে লেখেন. রোগীর ক্যাথিটার নেই। তার পাল্টাই কল বুকে লেখা হয় ইডিয়ট। কে লিখলেন? এটাই প্রশ্ন।নার্সদের বক্তব্য, যেহেতু কল বুক খাতাটা ডাক্তারের কাছেই গিয়েছিল, তাহলে এটা কোনও ডাক্তারই লিখে থাকবেন।”
সুপার বলেন, “কে লিখেছিলেন, সেটা খোঁজা খুব একটা শক্ত ব্যাপার নয়। তবে সময় বেশি চলে গেলে, সমস্যা হয়, সেটাই দ্রুত দেখা হচ্ছে। ডাক্তার-নার্সের মধ্যে কোনও মতের অমিল হয়েছিল কিনা, সেটা বড় ব্যাপার নয়, বড় ব্যাপার এই ধরনের শব্দপ্রয়োগ করা যাবে না।”





