Siliguri: মুখে রক্তের পাউচ নিয়ে কুকুরের ছোটাছুটি! চাঞ্চল্যকর দৃশ্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
North Bengal Medical College and Hospital: রক্তের প্যাকেট কুকুর মুখে নিয়ে ছুটোছুটি করেছে হাসপাতালের করিডোরে। কুকুর যখন রক্তের পাউচ নিয়ে খেলছে, তার পাশ দিয়েই গেখা গেল রোগীর আত্মীয়রা বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিয়ে যাচ্ছেন রোগীকে।
শিলিগুড়ি: কোভিড পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালগুলির ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত সঙ্কট চরমে উঠেছে। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর জন্য রক্ত জোগাড় করতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় পরিজনদের। এই অবস্থায় হাড় হিম করা দৃশ্য নজরে এলো। স্থান, উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। সেখানে রক্তের পাউচ মুখে নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা গেল এক পথকুকুরকে! কোথায় হাসপাতালের নজরদারি? কীভাবে হাসপাতালের ভিতরে কুকুর ঢুক তে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্বস্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।
এদিন হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের সামনে দেখা যায়, রক্তের প্যাকেট পড়ে রয়েছে জঞ্জালে! আর সেই রক্তের প্যাকেট কুকুর মুখে নিয়ে ছুটোছুটি করেছে হাসপাতালের করিডোরে। কুকুর যখন রক্তের পাউচ নিয়ে খেলছে, তার পাশ দিয়েই গেখা গেল রোগীর আত্মীয়রা বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিয়ে যাচ্ছেন রোগীকে। তাঁদের একাংশের চোখে পড়ে এই দৃশ্য। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা করাতে এসে কুকুরের মুখে রক্তের পাউচ বা প্যাকেট দেখে শিউরে ওঠেন তাঁরা। সকলের একটাই প্রশ্ন, যেভাবে সচেতনতা প্রচার করে ক্যাম্প করে, রক্তদান শিবির করে রক্তের জোগাড় করা হয়, সেই রক্তের পাউচ এভাবে জঞ্জালে পড়ে আছে কেন? আর কীভাবে হাসপাতালে ঢুকে তা মুখে নিয়ে ছুটছে কুকুরের দল? সমালোচনার মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।
এদিকে এ নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রজিৎ সাহার দাবি, ‘তাজা রক্তের পাউচ এভাবে বাইরে পড়ে থাকার কথাই নয়।’ তাছাড়া কোনও কারনণে রক্ত দীর্ঘদিন থেকে নষ্ট হয়ে গিয়ে থাকলেও তা ফেলে দেওয়ার পদ্ধতি আছে। কিন্তু সেগুলো মুখে নিয়ে কুকুরের ছোটাছুটির বিষয়টি তিনি মোটেই ভালচোখে দেখছেন না বলে জানান। বলেন, ‘এভাবে তা (রক্তের পাউচ) কখনওই পড়ে থাকা উচিত নয়। বা কুকুরের মুখে যাওয়ারও কথা নয়। আমি তদন্ত করে দেখছি, কেন এমন হল’।
এদিকে ফের রোগী মৃত্যুর ঘটনা চিন্তায় ফেলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের তিন শিশুর মুত্যু হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। এবিষয়ে কলেজে ও হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রজিৎ সাহা জানান, ‘গতকালের (রবিবারের) পর আজ ভোর পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে জ্বর বা শ্বাসকষ্ট জনিত কারণের জন্য নয়। অন্য উপসর্গ নিয়ে তাদের মৃত্য হয়েছে”।
তিনি আরও বলেন, গত তিন মাসে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৩৯০ জন ভর্তি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩টি বাচ্চা। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে ২২জন। সবমিলিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: Asok Bhattacharya: ‘অবসর’ ভেঙে ফের ভোট ময়দানে অশোক! শিলিগুড়ি পুরভোটে-ও বামেদের ভরসা তিনিই