Darjeeling Tourism: ৫ তারিখের মধ্যে খালি করতে হবে হোটেল! কড়াকড়ি হতেই দার্জিলিংয়ে ব্যাগ গোছানো শুরু পর্যটকদের
West Bengal: পর্যটকদের বারংবার মাস্ক ব্যবহার করতে বলছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
দার্জিলিং: বিগত কয়েকদিন ধরেই জমজমাট ছিল দার্জিলিং। ছুটি কাটাতে প্রচুর পর্যটকের ভিড় ছিল সেখানে। এইবছর আবার উপরি পাওনা তুষারপাত। ঝকঝকে আবহাওয়ায় কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা আর স্নো ফলের আনন্দে মাতোয়ারা ছিলেন পর্যটকেরা। কিন্তু তাল কাটল করোনা। বেড়ে চলেছে লাগামছাড়া সংক্রমণ। তাই করোনাকে জব্দ করতে রবিবার আংশিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আজ থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন।
কী পরিস্থিতি দার্জিলিংয়ের? রবিবার দুপুরে এই খবর পেতেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন পর্যটকেরা। বিকেল থেকেই কার্যত শুনশান হয়ে গেল ম্যাল থেকে রোপওয়ে। হোটেলবন্দি পর্যটকেরা ভাবছেন কী ভাবে বাড়ি ফিরে যাবেন। এদিকে, আজ থেকে পাহাড়ে শুরু হয়েছে প্রশাসনিক কড়াকড়ি। মাস্ক ছাড়া কাউকে দেখলেই সেখান থেকে সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। ম্যালে ভিড় প্রায় নেই বললেই চলে। ভিড় দেখলেই তা সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।
কলকাতা থেকে যাওয়া এক পর্যটক বললেন, “এই এক তারিখ দার্জিলিং এসেছিলাম। প্রথমবার এসেছি। না দেখতে পেলাম বরফ, না ঘুরতে পারলাম দার্জিলিং। টাকা পয়সা নষ্ট হল শুধু-শুধু।” এদিকে, দার্জিলিংয়ে পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে চিড়িয়াখানা থেকে মিউসিয়াম সমস্ত কিছু। ৫ তারিখের মধ্যে হোটেলগুলিও খালি করতে বলা হয়েছে।
আরও এক পর্যটক বলেন, “আগে থেকে জানা থাকলে সুবিধা হত। আমরা এত দূর থেকে এলাম। এখন ফিরে যেতে হচ্ছে। লকডাউন হলে আর ঘুবর কী করে।”
প্রসঙ্গত, ২৫ ডিসেম্বরের মতো নতুন বছরের প্রথম দিনেও পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট ছিল দার্জিলিং। ম্যাল, টয় ট্রেন, রোপওয়েতে পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। উপরি পাওনা হিসাবে আছে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা। শুক্রবার থেকেই পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা ছিল পাহাড়। এর মধ্যেই আচমকা কার্যত লকডাউন ঘোষণায় যেন দিশেহারা অবস্থা পর্যটকদের। আর এই মওকায় ভাড়া বেড়ে গিয়েছে গাড়ির।
রবিবার সন্ধ্যায় কার্যত শুনশান ম্যাল থেকে বাতাসিয়া। শনিবারও যেখানে আমোদপ্রিয় মানুষের ঢল ছিল, সেই টাইগার হিল, বাতাসিয়া লুপ, চিড়িয়াখানা, রোপওয়ে- সব জায়গায় এক ঝটকায় ভিড় উধাও। বন্ধ হচ্ছে যে পর্যটন কেন্দ্র! তাই বেড়াতে এসে বসে বসে কী করবেন আর, পর্যটকেরা চাইছেন তড়িঘড়ি বাক্সপ্যাঁটরা গুছিয়ে বাড়ি ফিরতে। কিন্তু টিকিট পাওয়ায় তো বেশ ঝক্কির।
আরও পড়ুন: Omicron Variant: জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে ৮৪ শতাংশের নমুনায় ওমিক্রন! ভয় ধরাচ্ছে রাজধানী