Upper Primary: ১৭ লাখের ‘কেলেঙ্কারি’, ধৃত শিক্ষকের বাড়ি যেন অট্টালিকা, ঘরের ভিতর বসানো ক্যামেরা, দামি গাড়ি…

Siliguri: শনিবার সকালে পঙ্কজের বাড়িতে পৌঁছয় টিভি নাইন বাংলা। স্কুলের শিক্ষক তিনি। শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ায় অট্টালিকা সমান বিশাল বাড়ি তাঁর।

Upper Primary: ১৭ লাখের 'কেলেঙ্কারি', ধৃত শিক্ষকের বাড়ি যেন অট্টালিকা, ঘরের ভিতর বসানো ক্যামেরা, দামি গাড়ি...
ধৃত পঙ্কজ বর্মন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 22, 2023 | 8:11 PM

শিলিগুড়ি: চাকরি দেওয়ার নাম করে ১৭ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগে শিলিগুড়ি (Siliguri) থেকে গ্রেফতার হয়েছেন স্কুল শিক্ষক (Teacher Arrest)। এরপরই শিলিগুড়িতে মিলল তাঁর বিপুল সম্পত্তির খোঁজ। শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে ১৭ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বরদাকান্ত স্কুলের সংস্কৃতের শিক্ষক পঙ্কজ বর্মনকে। এর আগে একই ঘটনায় গ্রেফতার হন আমবাড়ি হাইস্কুলের শিক্ষক সন্তোষ বর্মন। তিনিও শিলিগুড়ির বাসিন্দা। পঙ্কজ গ্রেফতার হওয়ার পর এবার নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। কোচবিহারের মাথাভাঙার বাপ্পা মালাকার অভিযোগ করেছিলেন, ২০১৬ সালে তিনি উচ্চ প্রাথমিকের জন্য টেট দেন, পাশও করেন। তিনি পরীক্ষায় পাশ করার পরও তার থেকে ১৭ লক্ষ টাকা নেন আমবাড়ি হাইস্কুলের শিক্ষক সন্তোষ বর্মন। বাপ্পার দাবি, সন্তোষ বর্মন তাঁকে আশ্বাস দেন বাপ্পার চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু সম্প্রতি প্যানেল বাতিল হতেই টাকা চেয়ে সন্তোষকে চাপ দিতে শুরু করেন বাপ্পা। এরপর গত ৯ জানুয়ারি আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেফতার হন সন্তোষ। তাঁকে জেরা করে পঙ্কজ বর্মনও গ্রেফতার হন।

শনিবার সকালে পঙ্কজের বাড়িতে পৌঁছয় টিভি নাইন বাংলা। স্কুলের শিক্ষক তিনি। শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ায় অট্টালিকা সমান বিশাল বাড়ি তাঁর। তিনতলা ওই বাড়িতে লাগানো রয়েছে অসংখ্য সিসিটিভি। দামি একটি গাড়িও আছে পঙ্কজের বলেই জানা গিয়েছে। রাত বাড়লে বাড়িতে লোকজনের আনাগোনা বাড়ত বলেও অভিযোগ। রায়গঞ্জের বাহারাইল এলাকায় একটি স্কুল থেকে বছর কয়েক আগে শিলিগুড়িতে বদলি হয়ে এসেছিলেন পঙ্কজ। তাঁরপর তাঁর ফুলে ফেঁপে ওঠা বলে অভিযোগ।

এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর সুজয় ঘটক বলেন, রাতবেরাতে লোক আসতেন ওই শিক্ষকের বাড়িতে। এরপর এই ঘটনা সামনে এল। জানা গিয়েছে, কোচবিহারেরই বাসিন্দা এই পঙ্কজ। এদিন তাঁর বাড়িতে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলে টিভি নাইন বাংলা। তিনি জানান, তাঁর স্বামীকে পুলিশ নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন? তিনি সেটা জানেন না বলেই দাবি করেন। অন্যদিকে বরদাকান্ত স্কুলে তাঁরই সহকর্মী বলেন, “আগে কে কী করতেন তা আমরা জানি না। উনি তো অন্য স্কুল থেকে আমাদের স্কুলে এসেছেন। লকডাউনের সময় আসেন তিনি। ২০২১ সাল বোধহয়। আমাদের পরিচিতিও সেভাবে তৈরি হয়নি। উনি আসতেন, ক্লাস নিতেন।” তিনি মেনে নেন, একজন শিক্ষকের যা বেতন, তাতে এইরকম এলাকায় এত বাড়ি, গাড়ি করা কিছুটা অসম্ভবই।

কাউন্সিলর সুজয় ঘটক বলেন, “দু’জন শিক্ষক গ্রেফতার হয়েছেন। ওনাদের শিক্ষক বলাটা ঠিক হবে না। ওনারা নিজেদের শিক্ষক বললেও প্রতারক বলাই ভাল।” অন্যদিকে পঙ্কজ বর্মনের স্ত্রী বলেন, “আমরা আগে রায়গঞ্জে থাকতাম। ওখানেই পড়াত। সেখান থেকে ট্রান্সফার নিয়ে এখানে আসে। কোচবিহারে বাড়ি। পুলিশ এসেছিল কাল, ধরে নিয়ে গিয়েছে সকালে। তারপর আর আমি কিছুই জানি না।” হাকিমপাড়ার মতো জায়গায় এত বড় বাড়ি, শিক্ষকের বাড়ির ঘরে ঘরে ক্লোজ সার্কিট ক্য়ামেরা বসানো। যদিও তাঁর স্ত্রী বলেন, এ নিয়ে কিছুই তিনি বলতে পারবেন না।