Corruption in Jobs: ’পরীক্ষার আগেই ঠিক হয়েছে চাকরি প্রাপকের নাম’, দিতে হচ্ছে ১৫-২০ লক্ষ! প্রতিবাদে পড়ল পোস্টার
Corruption in Jobs: পাঁশকুড়া পুরসভার সিএমএম ও ডিইও পদে কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা ছিল রবিবার। তার আগেই শনিবার পুরসভার বিভিন্ন জায়গায় চাকরি প্রার্থীদের ছবি সম্বলিত লিফলেট ছড়িয়ে পড়ে।
পাঁশকু়ড়া: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিগত কয়েক মাস থেকেই রীতিমতো চাপে পড়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress) সরকার। এমনকী বেআইনি নিয়োগের জেরে চাকরি গিয়েছে খোদ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। এমনকী যতদিন তিনি স্কুলের শিক্ষকতা করেছেন তাও ফেরাতে হচ্ছে তাঁকে। এমতাবস্থায় এবার পরীক্ষার আগেই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠল পাঁশকুড়া পুরসভার বিরুদ্ধে। এই মর্মে লিফলেট ছড়াল এলাকায়। জানা গিয়েছে, পাঁশকুড়া পুরসভার সিএমএম ও ডিইও পদে কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা ছিল রবিবার। তার আগেই শনিবার পুরসভার বিভিন্ন জায়গায় চাকরি প্রার্থীদের ছবি সম্বলিত লিফলেট ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
লিফলেটে লেখা রয়েছে সিএমএম পদে প্রয়াস বর ও ডিইও পদে মিউনিসিপ্যালটির কর্মরত আইটিও কর্মচারী সৈকত দাসকে নিয়োগ করা হবে। সৈকত দাসের চাকরি হয়ে গেলে আইটিও দপ্তরে নন্দবাবুর (পুর-চেয়ারম্যান নন্দকুমার মিশ্র) ঘনিষ্ঠ প্রতাপপুরের সুদীপ চক্রবর্তীকে নেওয়া হবে ঠিক হয়েছে। চাকরির জন্য দিতে হবে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা। লিফলেটে প্রশ্ন করা হয়েছে, তাহলে বেকার ছেলেদের হায়রানি করার জন্য কেন পরীক্ষায় ডাকা হয়েছে ? চাকরি তো কে পাবে তা ঠিক হয়েই আছে। নিয়ম মেনে পরীক্ষা ও নিয়োগ না হলে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে লিফলেটে। যদিও এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি লিফলেটে নাম থাকা চাকরি প্রার্থীদের।
তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান নন্দকুমার মিশ্র। তাঁর বক্তব্য, ”পুরসভা ও তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বিজেপি-র লোকজন এমন লিফলেট ছড়িয়েছে।”অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রতীক পাখিরা বলেন, “তৃণমূল যে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়ে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের পথে বসিয়েছে তা বাংলার মানুষ জানেন। তাই দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই আমাদের দিকে চক্রান্তের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। তা ঠিক না। ওরা স্বচ্ছতার সঙ্গে কর্মী নিয়োগ করে সেটা প্রমাণ করুক।”