
আসানসোল: ভোর হয়েছে। সূর্যের আলো দেখা মিলছে। সেই সময়ই ঢুকল একের পর এক গাড়ি। আর তারপরই ঢুকে পড়লেন ইডি আধিকারিকরা। তারপরই শুরু তল্লাশি অভিযান। জানা গিয়েছে, আসানসোলের (Asansol) বালি ব্যবসায়ীর বাড়িতেই এ দিন কেন্দ্রীয় এজেন্সি অভিযান চালায়। আসানসোল দক্ষিণ থানার অন্তর্গত মুর্গাশোলে অবস্থিত বালি ব্যবসায়ী মণীশ বাগারিয়ার বাড়ি। সেখানেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা অভিযান চালাতে শুরু করে। যার জেরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাগাড়িয়া পরিবার ঘুম থেকে ওঠার কিছু পরেই কেন্দ্রীয় টিম তাদের বাড়িতে পৌঁছয়। তাঁরা প্রথমে সকলের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে। এরপর তদন্ত শুরু করে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বালি সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছিল। কোটি-কোটি টাকার লেনদেন করত তারা। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন বালিঘাটের সঙ্গে যুক্ত বাগারিয়ারা বলে অভিযোগ। তাঁদের পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় লৌহ ইস্পাত কারখানাও রয়েছে বেশ কয়েকটি। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের বালিঘাট লিজহোল্ড ছিল। সরকারি বালিঘাটে আর্থিক তছরূপেরও অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে।
তবে শুধু আসানসোল নয়, এ দিন ঝাড়গ্রাম, কলকাতাতেও ইডি আধিকারিকরা গিয়েছেন তল্লাশি চালাতে। মূলত,বালি তোলার জন্য যে অনুমতি পত্র থাকে তা জাল করে একাংশ অসাধু ব্যবসায়ী বেআইনি ভাবে বালি তোলে। সুতরাং সেই জালিয়াতির মাধ্যমে বড় অঙ্কের টাকার লেনদেন কীভাবে হয়েছে সেটা তদন্ত করে দেখার জন্য ইডি আধিকারিকরা এই তদন্ত করছে।
এর আগে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে শেখ জহিরুল আলির বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। এই ব্যক্তি আগে ভিলেজ পুলিশ ছিলেন। তারপর চাকরি ছেড়ে বালির ব্যবসায় নামেন। তাঁর একাধিক বালির খাদান রয়েছে। সেখানেও হানা দেয় এজেন্সি। এর পাশাপাশি তল্লাশি চলে বেহালার জেমস লং সরণীর জিডি মাইনিং সংস্থায়। এই সংস্থার আরেও একটি অফিস রয়েছে বিধাননগরের সেক্টর ফাইভে। দুই অফিসেই চলে তল্লাশি।