Birbhum: বাংলার এই গ্রামে প্রবেশের পথ নেই, গাড়িও ঢোকেনি, তবু বাস করে মানুষ

Birbhum: নেই গ্রামের কোনও রাস্তা, নেই পাকা সেতু। বাঁশের ব্রিজ দিয়েই চলে পারাপারের কাজ। স্বাধীনতার পর ৭৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত গ্রামে ঢুকতে পারেনি কোনও যানবাহন।

Birbhum: বাংলার এই গ্রামে প্রবেশের পথ নেই, গাড়িও ঢোকেনি, তবু বাস করে মানুষ
ছবি - এভাবে চলছে পারাপারের কাজ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2022 | 7:01 PM

লাভপুর: একদিকে যখন চোখ ধাঁধানো শপিং মল, হাউসিং কমপ্লেক্সে ক্রমেই আধুনিক হচ্ছে একশ্রেণির মানুষের জীবন, সেখানে এখনও নদী পারাপারের জন্য এই গ্রামে নেই কোনও ব্রিজ। গ্রামে ঢুকতে পারে না কোনও চার চাকা বা মোটর সাইকেল। এ বিষয়ে বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। কথা হচ্ছে বীরভূমের (Birbhum) লাভপুর বিধানসভার থিবা গ্রাম পঞ্চায়েতের জয় চন্দ্রপুর গ্রামকে নিয়ে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এই গ্রামে কোনও পাকা রাস্তা নেই। নেই নদী পারাপারের জন্য কোনও সেতু। 

জয়চন্দ্রপুর গ্রামের একদিক দিয়ে বয়ে চলেছে কুয়ে নদী। গ্রামের অন্য পাশে বিল। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত গ্রামে প্রবেশের জন্য কোনও রাস্তা নেই। শুনতে অবাক লাগলেও এভাবেই বছরের পর বছর দিন কাটাচ্ছেন গ্রামের বাসিন্দারা। চরম দুরাবস্থার শিকার হলেও উপায় নেই কোনও। বর্তমানে জয়চন্দ্রপুর যেতে গেলে প্রথমে যেতে হবে হরিপুর গ্রামে। সেখান থেকে কুয়ে নদী পার করলে তবেই দেখা মিলবে জয়চন্দ্রপুরের। এদিকে কুয়ে নদীও সাড়া বছরই থাকে জলে ভর্তি। তাই সেখানে অস্থায়ীভাবে বাঁশের ব্রিজ তৈরি করে চলছে নদী পারাপারের কাজ। তবে বর্ষাকালে নদীতে জলস্তর বেড়ে গেলে আরও বাড়ে সমস্যা। স্তব্ধ হয়ে যায় যাতায়াত। 

অন্যদিকে ফাঁকা বিল দিয়ে গেলেও প্রায় ৭ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পাকা রাস্তায় উঠতে পারেন গ্রামবাসীরা। গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স বা অন্য কোনও যানবাহন সাইকেল-মোটরসাইকেল নিয়ে গ্রামে ঢোকার কোনও রাস্তা নেই। গর্ভবতী মহিলা বা অসুস্থ মানুষদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেগ পেতে হয় গ্রামের বাসিন্দাদের। ঢাকি চেপে চলে পারাপারের কাজ। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সমস্যার কথা এলাকার জনপ্রতিনিধিদের বারাবার জানানো হলে মিলেছে প্রতিশ্রুতি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হয়নি কোনও কাজ। অন্যদিকে নদী বাঁধের অবস্থাও বর্তমানে বিশেষ ভাল নয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বর্ষাকালে ধসের কারণে জলে তলিয়ে যাচ্ছে বাঁধের একটা বড় অংশ। এখন কবে সরকারিভাবে গ্রামে পাকাপাকিভাবে যাতায়াতের জন্য পাকা রাস্তা তৈরি হয় সেদিকেই তাকিয়ে এলাকার বাসিন্দারা। এ প্রসঙ্গে গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, “বর্ষার সময় প্রতি বছর নদী পেরোনোর ক্ষেত্রে বড় সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। জমিতেও যেতে সমস্যায় পড়ি। বর্ষায় তো বেশিরভাগ বছর বন্যাতে গোটা গ্রাম ডুবে থাকে। আজও কোনও রাস্তা নেই, ব্রিজ নেই। নৌকা, ঢাকি দিয়েই যাতায়াত করি। আমরা ছোট থেকেই দেখছি এইভাবেই চলছে।”