HS Exam: ১০০০ টাকা দিলেই বসতে পারবে HS পরীক্ষায়, ফেল করা ছাত্রদের স্বয়ং ফোন করলেন হেড মাস্টার?

HS News: জানা গিয়েছে, এবার ওই স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় ৭২ জন ফেল করেছিল। এই অনুত্তীর্ণদের একাংশের অভিযোগ, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাদের হাজার টাকা দিয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদনপত্র পূরণের কথা ফোন করে জানিয়েছিলেন।

HS Exam: ১০০০ টাকা দিলেই বসতে পারবে HS পরীক্ষায়, ফেল করা ছাত্রদের স্বয়ং ফোন করলেন হেড মাস্টার?
অলোক বিশ্বাস,প্রধান শিক্ষকImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 28, 2024 | 11:04 PM

শিলিগুড়ি: উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্টে অনুত্তীর্ণদের থেকে টাকা নিয়ে পাশ করানোর অভিযোগ। শুধু তাই নয়, চূড়ান্ত পরীক্ষার আবেদনপত্রও পূরণ করার অভিযোগ উঠল সরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে। শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগর সন্তোষিণী বিদ্যাচক্র হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অলোক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের একাংশ।

জানা গিয়েছে, এবার ওই স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় ৭২ জন ফেল করেছিল। এই অনুত্তীর্ণদের একাংশের অভিযোগ, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাদের হাজার টাকা দিয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদনপত্র পূরণের কথা ফোন করে জানিয়েছিলেন। যারা ফেল করেছেন তাদের কাছে টাকা চাওয়া হল কেন? চাপে পড়ে টাকা ফেরাতে ফের নোটিস স্কুলের তরফে। সংশ্লিষ্ট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কীভাবে পড়ুয়াদের ফোন করে এক হাজার টাকা দাবি করেন তানিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে।

এক পরীক্ষার্থী দীপিকা মণ্ডল বলেন, “টেস্টে অনুত্তীর্ণ হওয়ায় স্কুল থেকে এক হাজার টাকা লাগবে বলে আমাদের স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফোন করে জানান। তাঁর কাছেই টাকা জমা দিয়েছি। হয়ত টেস্টে উত্তীর্ণ করে দেওয়ার জন্যই এই টাকা নেওয়া হচ্ছে।” বিশাল ঘোষ নামে আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, “প্রধান শিক্ষক ফোন করে বলেছে হাজার টাকা দিলে পাশ করিয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসার জন্য অ্যাডমিট দেবেন। বযারা ফেল করছে তাদের ফাইন করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। টাকার কোনও রসিদ দেওয়া হয়নি৷ তবে, খরচ না হওয়া বাড়তি টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।”

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অলোক বিশ্বাস বলেন, “ফেল অনেকেই করেছে। আবেদনপত্র পূরণ চলছে। কাউন্সিলের ধার্য্য করা আবেদনেপত্র পূরণ এবং লেট ফাইনের টাকা দিয়ে জমা নেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে, বাচ্চারা এডুকেশনাল ট্যুরে যাওয়ার দাবি করেছিল। শিলিগুড়ি এবং বেঙ্গল সাফারিতে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে। এই সমস্ত খরচ ধরেই হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিল। ওই টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।”