Arambag School: সাপের আড্ডা-খোপের বাসা, আর বর্ষা হলেই স্কুল বনে যায় দ্বীপ!
West Bengal: হুগলির গোঘাটের নকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওয়ানচক গ্রাম। এই গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৯৬২ সাল নাগাদ।
আরামবাগ: একটি শ্রেণিকক্ষ। তার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি ক্লাস। প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত। পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনের জন্য রয়েছে চারটি বেঞ্চ। পড়ুয়াদের সংখ্যা পনেরো জন। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন তিন জন। শিশু শ্রেণিতে দু’জন, প্রথম শ্রেণিতে চার জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে চার জন, তৃতীয় শ্রেণিতে এক জন ও চতুর্থ শ্রেণিতে চার জন। ঠিক এমনই চিত্র ধরা পড়েছে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়।
হুগলির গোঘাটের নকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওয়ানচক গ্রাম। এই গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৯৬২ সাল নাগাদ। এলাকার প্রত্যন্ত গরিব দিনমজুর কৃষিজীবী পড়ুয়ারা এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে।
বর্ষাকালে এই দেওয়ানচক এলাকাটি একটি দ্বীপের আকার ধারণ করে। চারিদিকে শুধু জল আর জল মাঝে কয়েকটি বাড়ি আর কিছু গাছ গাছালি দেখা যায় দূর থেকে। তাই বর্ষায় বেশিরভাগ সময়ই স্কুলে ছুটি থাকে। সময় এই বিদ্যালয়ে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ছিল। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কমতে-কমতে এখন পনেরো জন। তিনজন শিক্ষক-শিক্ষিকায় ক্লাস নেন একটি রুমে এক সঙ্গেই। স্কুলের শুরু থেকে ছুটি পর্যন্ত একটি রুমেই ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষকরা একসঙ্গেই থাকেন। বিদ্যালয়ের পুরাতন বিল্ডিং জরাজীর্ণ। সাপ ক্ষোপের আড্ডা বসে। এমনকী এলাকাবাসীর দাবি পুরাতন বিল্ডিং এর ছাদ থেকে চাঙড় ভেঙে পড়ছে।তাই গ্রামের মানুষজন ও এসআই অফিস থেকে ওই ভবনের ভেতর ঢুকতেই নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘জরাজীর্ণ অবস্থায় স্কুল পড়ে রয়েছে। সেই কারণে বাইরে বসেই কাজ করতে হচ্ছে। দু’জন শিক্ষক একজন শিক্ষিকা। ক্লাস হয়। বন্যার জন্য ক্লাস বন্ধ থাকে।’ অপরদিকে, স্কুল কর্তৃপক্ষ অরীণ কুমার ব্যানার্জী বলেন, ‘এখন পড়ুয়া কম রয়েছে। সেই কারণে শিক্ষক কম। ছাত্র বাড়লে শিক্ষকও বাড়াতে হবে। পড়ুয়া অনুযায়ী ফান্ড পাই। তাই পড়ুয়া বাড়লে আমাদের ভেবে দেখতে হবে। আর ছেলে-মেয়েদের সুরক্ষার কথা ভেবেই আমারা বাইরে ক্লাস করি।’