Potato Farmers: কমল দুশ্চিন্তার বোঝা, ক্ষতিপূরণ পাবেন হুগলির সব আলু চাষি

Hooghly news: এবার মরসুমের শুরুতে প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল। অকাল বর্ষণে সেই আলু নষ্ট হয়। কৃষকদের বীমা করানো থাকলেও দেখা যায়, ক্ষতিপূরণের টাকা আসেনি।

Potato Farmers: কমল দুশ্চিন্তার বোঝা, ক্ষতিপূরণ পাবেন হুগলির সব আলু চাষি
অকাল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 15, 2022 | 9:33 PM

হুগলি : অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হুগলি জেলার সব আলু চাষিকেই ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্ত। ইসরো অ্যাপের তোলা স্যাটেলাইট ছবি দেখে আলু চাষিদের এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সঠিক ক্ষতিপূরণ না পেয়ে হুগলি জেলার বিভিন্ন ব্লকে কৃষি দফতরের সমবায়ে বিক্ষোভ দেখায় আলু চাষিরা। নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে বুধবার হুগলির জেলা শাসকের দফতরে বৈঠকে বসেন জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া, পঞ্চায়েত দফতরের প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহবুব রহমান, জেলার বিভিন্ন বিধায়ক। এছাড়া জেলা কৃষি দফতর, সমবায় দফতর এবং বীমা সংস্থার আধিকারিকরাও ছিলেন ওই বৈঠকে।

সেই বৈঠকে ইসরো অ্যাপ নিয়ে আলোচনায় উঠে আসে প্রযুক্তিগত সমস্যার কথা। যে অ্যাপের মাধ্যমে ছবি তুলে আলু চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়, সেটি একটি প্রি-ইন্সট্রাক্টিভ অ্যাপ। ফলে অনেক চাষিদের ক্ষতিপূরণ ধরতে ব্যার্থ হয় স্যাটেলাইট ছবি। হুগলি জেলায় প্রায় ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। এবার মরসুমের শুরুতে প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল। অকাল বর্ষণে সেই আলু নষ্ট হয়। কৃষকদের বীমা করানো থাকলেও দেখা যায়, ক্ষতিপূরণের টাকা আসেনি। শুরু হয় ক্ষোভ-বিক্ষোভ। ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ২৩৬ জন আলু চাষি ক্ষতির শিকার হয়েছে বলে দাবি। অথচ, ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন ৭৮ হাজার চাষি। চাষিদের ক্ষোভ দেখে প্রশাসন বাস্তব অবস্থা খতিয়ে দেখে। বোঝা যায় কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যা হয়েছে।

বুধবার জেলাশাসকের দফতরে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় আরও ১ লক্ষ ৬ হাজার কৃষক বীমার টাকা পাবেন। অর্থাৎ, ক্ষতিগ্রস্ত সব চাষিই বীমার টাকা পাবেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, “কৃষি মন্ত্রী, কৃষি উপদেষ্টার কাছে আমরা আবেদন করেছিলাম যাতে এই বীমার টাকা দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হয়। বীমা সংস্থা যে তালিকা তৈরি করেছিল, তার থেকে অতিরিক্ত ১ লক্ষ ৬ হাজার কৃষক ক্ষতিপূরণ পাবেন। শস্য বীমার আওতায় যাঁরা পড়েছেন অর্থাৎ যাঁরা অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন, প্রত্যেকেই যাতে তাঁদের বীমার টাকা পান সেটা দেখতে হবে। দিন পনেরোর মধ্যেই আশা করছি এই টাকা পেয়ে যাবেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যার ছিল। সেটা বীমা কোম্পানির, যাঁরা ছিলেন, তাঁরা স্বীকার করে নিয়েছেন।”