Arambag Protest: এলাকায় এত কেন পচা গন্ধ? কাউন্সিলরকে ধাক্কা, পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম পুলিশ

Arambag Protest: আরামবাগ পুরসভার পচনশীল বর্জ্য দিয়ে জৈব সার তৈরির প্রকল্প নিয়েছে। তাতে স্থানীয় বাসিন্দারাই উপকৃত হওয়ার কথা ঠিক ছিল। কিন্তু তাঁরা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

Arambag Protest: এলাকায় এত কেন পচা গন্ধ? কাউন্সিলরকে ধাক্কা, পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম পুলিশ
আরামবাগে ঝামেলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 10, 2022 | 11:35 AM

আরামবাগ: এলাকা থেকে পচা গন্ধ বের হয়। অভিযোগ দীর্ঘদিনের। মঙ্গলবার সকালে এলাকা পরিদর্শনে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে কাউন্সিলর। কাউন্সিলরকে ধাক্কাধাক্কি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। বিক্ষোভ সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় আরামবাগ থানার পুলিশকে। আরামবাগ পুরসভার ৫, ১৯ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন এলাকায় যে পচনশীল বর্জ্য নিয়ে একটি জৈব সার তৈরির প্রকল্প শুরু করেছে, তার গন্ধে অতিষ্ঠ ওই এলাকার বাসিন্দারা। পচনশীল বস্তুও বর্জ্যের তীব্র গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকার অগণিত মানুষ। পুরসভার এই পচনশীল বর্জ্য অন্যত্র ফেলার জন্য বারবার দাবি ও আবেদন করা হলেও, তাতে কেউ কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ।

বাধ্য হয়ে পুরসভার এই গোডাউনে তালা ঝুলিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বহু বাসিন্দা। এই বিক্ষোভে সামিল হন এলাকার বেশিরভাগ গৃহবধূরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাওয়ায় ঘটনাস্থলে আসে আরামবাগ থানার পুলিশ। শেষমেশ পুলিশের আশ্বাসে তাঁরা তালা খুলে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

আরামবাগ পুরসভার পচনশীল বর্জ্য দিয়ে জৈব সার তৈরির প্রকল্প নিয়েছে। তাতে স্থানীয় বাসিন্দারাই উপকৃত হওয়ার কথা ঠিক ছিল। কিন্তু তাঁরা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। তার একমাত্র কারণ, ওই পচনশীল দ্রব্যের গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ মানুষ। ব্যাপক দুর্গন্ধে বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। অন্তঃসত্ত্বারাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অভিযোগ, এই নিয়ে বার বার কাউন্সিলরকে জানিয়েই কোনও লাভ হয়নি।

জানা গিয়েছে, আরামবাগের ১৯টি ওয়ার্ডের সমস্ত পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য দ্রব্য এসে জড়ো হয় ৫, ১৪ ও ১৯ ওয়ার্ড সংলগ্ন বেনেপুকুর এলাকায়। এখানেই আরামবাগ পুরসভার এই গোডাউনটি আছে। সেই গোডাউনেই গোটা শহরের বর্জ্য পদার্থ নিয়ে এনে জমা করা হয়। এই গোডাউনের পাশাপাশি এলাকায় এই তিনটি ওয়ার্ডের মানুষের বাস। দীর্ঘদিন ধরে এই গন্ধ সহ্য করে আসছেন তাঁরা। কাউন্সিলর এলে ক্ষোভ উগরে দেন।

আরামবাগ থানার পুলিশ গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করলে বিক্ষোভ তুলে নেন তাঁরা। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্জয় ঘোড়ুই এই সমস্যার কথা কার্যত স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, “পুরসভায় গিয়ে জানাবো, যাতে এই প্রকল্প অন্যত্র স্থানান্তর করা যায়। শহরের বাইরে কোনও ফাঁকা এলাকায় যাতে করা যায় তার প্রস্তাব পাঠাবো।”