Uttarakhand: ৭২ ঘণ্টা অন্ধকারে! বাড়ি ফিরতে মরিয়া উত্তরাখণ্ডে আটকে থাকা বাঙালি পর্যটকরা

Hooghly: সূত্রের খবর, ভওয়ালীর কাছে রাস্তায় আটকে আছে প্রায় ৫০০টি গাড়ি।

Uttarakhand: ৭২ ঘণ্টা অন্ধকারে! বাড়ি ফিরতে মরিয়া উত্তরাখণ্ডে আটকে থাকা বাঙালি পর্যটকরা
উত্তরাখণ্ডে আটকে হুগলির বাঙালি পরিবার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 20, 2021 | 2:37 PM

হুগলি :দু’দিনের লাগাতার বৃষ্টি উত্তরাখণ্ডে। লণ্ড-ভণ্ড করে দিয়েছে দেবভূমি। বৃষ্টি কিছুটা কমলেও বিপদ কাটেনি । এখনও ধস (Landslide) নেমেই চলেছে খৈরানা, গরমিপা সহ একাধিক এলাকায়। এই অবস্থায় সেখানে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন কয়েকজন বাঙালি পর্যটকও।

জানা গিয়েছে, চুঁচুড়ার সুমন চক্রবর্তী ও তাঁর স্ত্রী দীপান্বিতা ব্যানার্জী চক্রবর্তীর পুরো পরিবার গত ১৫ তারিখ এক্সপ্রেস ধরে হাওড়া থেকে উত্তরাখণ্ড বেড়াতে যান। ১৬ তারিখ তাঁরা নৈনিতাল পৌঁছান। সেখানে দু’দিন কাটিয়ে,তাঁদের ১৮ তারিখ কৌশানী যাওয়ার কথা ছিল।

নৈনিতাল থেকে কৌশানী যাওয়ার পথে ভওয়ালী নামে একটি জায়গায় আটকে পড়েন ওই পর্যটকরা। তিনদিন ধরে একটি গেস্ট হাউসে আটকে আছেন তাঁরা। এখনও খাবারের সমস্যা না হলেও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন প্রত্যেকে। নৈনিতাল থেকে ১১কিমি দূরে এমন জায়গায় আটকে যে, কোনও দিকে যাওয়ার উপায় নেই। সব দিকের রাস্তায় পাহাড় ধ্বসে বন্ধ যান চলাচল। পাহাড়ি নালা খুলে হুহু করে জল নামছে । বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী থাকলেও কাজ করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন পর্যটকরা ।

সূত্রের খবর, ভওয়ালীর কাছে রাস্তায় আটকে আছে প্রায় ৫০০টি গাড়ি। খাবারের ট্রাক রাস্তায় আটকে যাওয়াতে রসদে সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা।

ইতিমধ্যে নৈনিতালের রামনগরে জিম করবেট ন্যাশনাল পার্ক ভেসে গিয়েছে । সেখানে যা পরিস্থিতি দু এক দিনের মধ্যে তাঁদের উদ্ধার পাওয়ার উপায় নেই । যদি না হেলিকপ্টার করে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে ফোনে নেটওয়ার্ক কাজ না করায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পর্যটকরা।

উত্তরপাড়া মাখলার ঘোষ পরিবারও একই ভাবে আটকে গিয়েছে উত্তরাখণ্ডে পাহাড়ি ধ্বসে।নৈনিতাল যাওয়ার পথে আলমোরা জেলার বিনসারে আটকে রয়েছেন তাঁরা। মমি ঘোষ ফোনে জানিয়েছেন,এই মুহুর্তে বৃষ্টি কমেছে তবে রাস্তায় ধ্বস নেমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে পর্যটকরদের।

এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহরাদুন থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রানিক্ষেতে (Ranikhet) যে পরিমাণ জ্বালানি মজুত ছিল, তা প্রায় পুরোটাই শেষ। পেট্রল পাম্পগুলিতে যেটুকু পেট্রল-ডিজেল রয়েছে, তা জরুরি পরিষেবার জন্যই সংরক্ষিত রয়েছে। একটানা বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ পরিষেবাও বিপর্যস্ত হলে গিয়েছিল। প্রায় ২৪ ঘণ্টা অন্ধকারে থাকার পর কম ভোল্টেজে বিদ্যুৎ পরিষেবা ফের চালু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে একাধিক জায়গায় ফাইবার অপটিক কেবল ছিঁড়ে যাওয়ায় টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।