Hooghly Silt lifting: পলি উত্তোলনের জন্য খরচ হিসাবও দেখানো হয়েছে, অথচ নেই ড্রেন! তাহলে টাকা গেল কই?

Hooghly Silt lifting: সেই ড্রেনের পলি কীভাবে উত্তোলন হয়ে গেল? যদি টাকা খরচ হয় তাহলে কাজ না হয়ে টাকা কোথায় গেল? প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার মানুষজন।

Hooghly  Silt lifting: পলি উত্তোলনের জন্য খরচ হিসাবও দেখানো হয়েছে, অথচ নেই ড্রেন! তাহলে টাকা গেল কই?
ড্রেন নেই অথছ পলি উত্তোলনের টাকাও খরচ হয়ে গেল!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 12, 2022 | 11:55 AM

হুগলি: গোটাটাই একটা রাস্তা। তাও আবার মাটির। ঢালাইও না। সংশ্লিষ্ট ওই জায়গায় নেই কোনও ড্রেন। কিন্তু সেখানেই নাকি ড্রেন থেকে হয়েছে পলি উত্তোলন। তারও হিসাব আবার খাতায় কলমে দেখানো হয়েছে। আর তা নিয়েই বিতর্ক।  ড্রেনের পলি উত্তোলন হয়েছে বোর্ডে দেওয়া আছে খরচের হিসাব। কিন্তু বাস্তবে নেই কোনও ড্রেন। তাহলে পলি উত্তোলনের টাকা গেল কোথায়? উঠেছে প্রশ্ন। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান বিষয়টি তাঁর গোচরে নেই বলে দায় এড়িয়েছেন। গোঘাটের ভাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মণ্ডলগাঁথি শিবতলা থেকে সমীর মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি পর্যন্ত ড্রেন সংস্কারের জন্য এনআরইজিএ প্রকল্পের ২০১৭-১৮ বর্ষের খরচের হিসাব দেওয়া বোর্ড দেওয়া থাকলেও ড্রেনের কোন অস্তিত্বই নেই। তাহলে সেই ড্রেনের পলি কীভাবে উত্তোলন হয়ে গেল? যদি টাকা খরচ হয় তাহলে কাজ না হয়ে টাকা কোথায় গেল? প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার মানুষজন।

স্থানীয় মানুষজন বলছেন, বৃষ্টি হলেই রাস্তার ওপর দিয়ে জল যায়। ড্রেন যদি থাকতো তাহলে রাস্তার ওপর দিয়ে জল যায় কেন? ড্রেন না থেকেও কীভাবে ড্রেনের পলি উত্তোলন হল আর কবেই হল? তবে রাস্তার ধারে বোর্ড দেওয়া আছে গ্রামের মানুষজন তা জানেন। এ বিষয়ে ভাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শান্তি রায় বিষয়টি তার জানা নেই বলে জানিয়েছেন। তবে তিনি এই বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “কোদাল করে লেবাররা একটু মাটি কেটে দিয়েছিল। ওটাই নাকি ড্রেন। একটু বৃষ্টি হলেই এখানে এক হাঁটু জল। বোর্ড লাগানো হয়েছে, রাস্তা হবে, ড্রেন হবে। ফিতে কাটাও হয়ে যায়। কিন্তু রাস্তা কই?”

ভাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শান্তি রায় বলেন. “আমার বিষয়টি গোচরে নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি, কেন এমনটা হল।”