Hooghly: ধরেছে পচন, মৃত মেয়ের দেহ আগলে বাড়িতে তালা দিল মা, প্রতিবেশীরা পুলিশ ডাকতেই হুলুস্থুল কাণ্ড চন্ডীতলায়
Hooghly: এদিন সকালে প্রতিবেশীরা তার দেহ দেখতে পেতেই খবর দেন পুলিশে। খবর পেয়ে পুলিশ এলেও কিছু লোকজন পুলিশের সামনেই অরিত্রীর দেহ বের করে সোজা শ্মশানে নিয়ে চলে যান। সেখানেই দাহ করা হয়। কিন্তু, কেন করা হল না ময়নাতদন্ত?
হুগলি: বেশ কিছুদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে বাড়ির মেয়ের। জানতেন শুধু মা। কিন্তু, কিছু টের পাননি প্রতিবেশীরা। আচমকা দুর্গন্ধে ঢাকা পড়ে যায় গোটা এলাকা। তীব্রতা বাড়তেই সন্দেহ হয় পাড়ার লোকজনের। খোঁজ নিতে দেখা যায় ঘরের মধ্যে পড়ে আছে বছর চোদ্দোর অরিত্রী ঘোষের পচাগলা দেহ। আর তা আগলে বসে রয়েছেন মা। চাঞ্চল্যকর ঘটনা হুগলির চন্ডীতলার খানাবাটী এলাকায়। অরিত্রীর বাবা প্রভাস ঘোষের মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই। তারপর থেকে মেয়েকে নিয়ে থাকতো মা। এদিকে জন্ম থেকেই আবার অরিত্রী শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শিকার। সে কারণে সিংহভাগ সময় বাড়িতেই কাটতো দিন। কিন্তু, কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান দিন চারেক আগে মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালিকার।
এদিন সকালে প্রতিবেশীরা তার দেহ দেখতে পেতেই খবর দেন পুলিশে। খবর পেয়ে পুলিশ এলেও কিছু লোকজন পুলিশের সামনেই অরিত্রীর দেহ বের করে সোজা শ্মশানে নিয়ে চলে যান। সেখানেই দাহ করা হয়। কিন্তু, কেন করা হল না ময়নাতদন্ত? পুলিশ যদিও জানিয়েছে যেহেতু বাড়িতেই মৃত্য হয়েছে সে কারণে ময়নাতদন্তের জন্য কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে মেয়ের মৃত্যুর কারণ জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মাকে।
ঘটনা প্রসঙ্গে অরিত্রীর কাকা বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “ওর মা তো অনেকদিন থেকেই বাড়িতে তালা দিয়ে রেখেছিল। কেউ বাড়িতে ঢুকতে পারে না। আমিও ঢুকতে পারিনি। আগে দেখভালের জন্য আয়া রাখা হয়েছিল। কিন্তু, আয়ার সঙ্গে ঝামেলা করতো। কেউ আসতে চাইতো না। আমার কাছে একটা ঢোকার চাবি ছিল। কিন্তু, কিন্তু কিছুদিন আগে তালাও বদলে ফেলেছে। কী করে মারা গেল কিছুই বুঝতে পারছি না।”