Piyali Basak: দুই মাস পর বাড়ি ফিরলেন এভারেস্টজয়ী পিয়ালী, মেয়েকে দেখেই কেঁদে ফেললেন মা
Piyali Basak returns home: চন্দননগর পুরনিগমের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোহিত নন্দীর তত্বাবধানে মুন্সি পুকুর মোড় থেকে বাড়ি পর্যন্ত শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। রাখা হয়েছিল ব্যান্ড পার্টির ব্যবস্থা। ছিল হুডখোলা গাড়িও।
চন্দননগর : অনেক প্রতিকূলতাকে হারিয়ে এভারেস্ট (Mt. Everest) জয় করেছেন চন্দননগরের পিয়ালী বসাক (Piyali Basak)। কোনওরকম অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার না করেই এভারেস্ট জয় করেছেন। তার দুই দিন পরই আবার জয় করেছেন লোৎসে। পর্বত জয় করে এবার ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরলেন। এভারেস্ট ও লোৎসে জয়ের পর শনিবার বাড়ি ফিরেছেন চন্দননগরের পিয়ালী বসাক। তাঁকে সাড়ম্বরে স্বাগত জানালেন চন্দননগরবাসী। গত ২২ মে এভারেস্ট জয় করেছিলেন পিয়ালী। চন্দননগর পুরনিগমের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোহিত নন্দীর তত্বাবধানে মুন্সি পুকুর মোড় থেকে বাড়ি পর্যন্ত শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। রাখা হয়েছিল ব্যান্ড পার্টির ব্যবস্থা। ছিল হুডখোলা গাড়িও। সেই হুডখোলা গাড়িতে চেপেই বাড়ি পর্যন্ত যান পিয়ালী।
এভারেস্টজয়ী পিয়ালীকে নিয়ে শনিবার এলাকাবাসীর আবেগ ছিল চোখে পড়ার মত। ফুলের মালা পরিয়ে, ফুল ছড়িয়ে, মিষ্টি দিয়ে পিয়ালীকে স্বাগত জানানো হয়। বাড়ির সামনে আসতেই পিয়ালীকে দেখে কেঁদে ফেলেন তাঁর মা স্বপ্না বসাক। মেয়েকে জড়িয়ে ধরে, মিষ্টি খাইয়ে দেন তিনি। প্রায় দুই মাস পর বাড়ি ফিরেছেন মেয়ে। তাই এই দিন বাড়িতে পিয়ালীর জন্য দুপুরের মেনুতে রাখা হয়েছে তাঁর প্রিয় মাছের ঝোল আর ভাত। এদিকে এলাকাবাসীর থেকে এমন সংবর্ধনা পেয়ে আপ্লুত পিয়ালী। এভারেস্টজয়ী জানান, তাঁর এই অভিযানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন এলাকাবাসী থেকে তাঁর শুভানুধ্যায়ীরা সকলেই। তাঁদের সাহায্য ছাড়া এটা সম্ভব হত না বলেই মনে করছেন তিনি।
তবে এখানেই থেমে থাকতে চান না পিয়ালী। এরপর তাঁর লক্ষ্য, বিশ্বের সব আট হাজারি চূড়া। এভারেস্টজয়ী বলেন, “পর্বতারোহণ এখনও আমাদের দেশে সেভাবে জনপ্রিয় হয়নি। যদি সরকার ট্রেনিং-এর ক্ষেত্রে আমাদের পাশে দাঁড়ায়, তাহলে অনেক ভাল হয়। সবকিছুতেই একটা খরচের বিষয় থাকে। প্রশিক্ষণ, খাওয়া-দাওয়া, অভিযান… এগুলির ক্ষেত্রে যদি কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার পাশে দাঁড়ায়, তাহলে অনেক উপকার হয়।”