Unknown Fever: অজানা জ্বরে মৃত্যু শ্রীরামপুর হাসপাতালের নার্সের, হুগলি জুড়ে আতঙ্ক

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, গতকাল শ্রীরামপুর মহকুমা দপ্তরে ডেঙ্গু নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে।

Unknown Fever: অজানা জ্বরে মৃত্যু শ্রীরামপুর হাসপাতালের নার্সের, হুগলি জুড়ে আতঙ্ক
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2022 | 6:36 PM

শ্রীরামপুর: শ্রীরামপুরে অজানা জ্বরে মৃত্যু হল এক নার্সের। মৃতের নাম বিম মিত্র (২৩)। ডানকুনির বাসিন্দা ওই নার্স শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। বুধবার তাঁর মৃত্যু হয়।

ঘটনা নিয়ে হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া বলেছেন, “অজানা জ্বরে মৃত্যু হয়েছে ওই নার্সের। জ্বর ছিল তাঁর। ডেঙ্গু পরীক্ষায় এনএস-১ রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। আরও কয়েকটি রিপোর্ট করতে দেওয়া হয়েছিল। সেই সব পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর।“ সিএমওএইচ আরও বলেন, “এই সময় ডেঙ্গি বাড়ছে। তাই জ্বর হলেই অনেকে মনে করছেন ডেঙ্গি হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এনসেফালাইটিস, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়াও হচ্ছে অনেকের। কোভিডও একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। তাই জ্বর হলে ফেলে রাখা উচিত নয়।“ জেলার ১৮ ব্লক হাসপাতাল ও ৫ বড় হাসপাতালে আলাদা করে ফিভার ক্লিনিক খোলা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত হুগলি জেলায় ১৬০০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ৪০০ জন সক্রিয় রোগী হাসপাতালে ভর্তি। সক্রিয় ২০০ জন বাড়িতেই চিকিৎসা করাচ্ছেন।

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, গতকাল শ্রীরামপুর মহকুমা দপ্তরে ডেঙ্গু নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া-সহ জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। বৈঠকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে ডেঙ্গি কেস বাড়ছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নিয়ে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। যে সব এলাকায় অতিদ্রুত ছড়াচ্ছে, সেখানে দুটি পর্যায়ে পরিচ্ছন্নতার অভিযান করতে হবে। প্রথমত, লার্ভা রোখার চেষ্টা করা হবে। পুজোর আগে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর অবধি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে পুজোর পর ১১ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত হবে সেই অভিযান।

কোথায় ডেঙ্গি দ্রুত ছড়াচ্ছে সেই সব ওয়ার্ড ও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বৈঠকের আলোচনা নিয়ে তিনি বলেছেন, “পুজোর সময় বহু চায়ের ভাঁড় ও নারকেল খোল পড়ে থাকে, সে সব পরিষ্কার করলে পুজোর পরে প্রকোপ রোখা যাবে। জেলার সমস্ত হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক খোলা হয়েছে। আলাদা ভাবে ফিভির ক্লিনিক খোলা হবে। যাতে রোগীদের অপেক্ষা করতে না হয়।” চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতাল, চন্দননগর, শ্রীরামপুর, আরামবাগ মহকুমা ও উত্তরপাড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে ২৪ ঘন্টার ল্যাব খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। যাতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা ও ৪ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট পেয়ে দ্রুত চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। চিকিৎসার ক্ষেত্রে যাতে কোন রকম গাফিলতি না হয়, তার জন্য সকলের সঙ্গে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বড় হাসপাতালের ডেপুটি লেভেল অফিসারদের, যাতে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করা যায়।