Sukanta Majumdar: স্কুলের পরীক্ষা চলাকালীন মাইক বাজিয়ে বিজেপির কর্মসূচি, ক্ষমা চাইলেন সুকান্ত

Sukanta Majumdar: শ্যামা প্রসাদের বাড়ির কাছেই রয়েছে তাঁর পিতা আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের নামে আশুতোষ স্মৃতি মন্দির বালিকা বিদ্যালয়। সেই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা ছিল বুধবার।

Sukanta Majumdar: স্কুলের পরীক্ষা চলাকালীন মাইক বাজিয়ে বিজেপির কর্মসূচি, ক্ষমা চাইলেন সুকান্ত
সুকান্ত মজুমদার (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 06, 2022 | 7:14 PM

হুগলি : স্কুলে পরীক্ষা চলার সময় বিজেপির কর্মসূচি। শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম দিবস পালনে তারস্বরে মাইক বাজল। আর এমন ঘটনার জন্য এবার ক্ষমা চেয়ে নিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামা প্রসাদের জন্মভিটে হুগলির বলাগড়ের জিরাটে। এ দিনে সেখানে মাইক বাজিয়ে অনুষ্ঠান করে বিজেপি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং জেলার অন্যান্য নেতা ও কর্মীরা। আর সেই অনুষ্ঠানকে ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক। শ্যামা প্রসাদের বাড়ির কাছেই রয়েছে তাঁর পিতা আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের নামে আশুতোষ স্মৃতি মন্দির বালিকা বিদ্যালয়। সেই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা ছিল বুধবার।

পরীক্ষা চলাকালীন সকাল ১১ টা থেকে মাইক বাজানো শুরু হয়। শ্যামাপ্রসাদের জন্মদিবস পালন করতে স্কুল মাঠেই প্যান্ডেল করা হয়। অভিযোগ, সেখান থেকে তারস্বরে মাইক বাজতে থাকে। ফলে স্কুলে পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়ে যায় বলে অভিযোগ। দরজা – জানালা বন্ধ করে কোনওরকমে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই বিষয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কৃষ্ণা পাল বলেন, “আজ ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা চলছিল। সেখানে কয়েকটি ক্লাসে মাইকের শব্দে সমস্যা হচ্ছিল। সভার কোনও অনুমতি ছিল কি না, তা জানি না।”

এদিকে বুধবারের এ হেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের থেকে কটাক্ষ করা হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। তৃণমূলের খোঁচা, “বিজেপির এটাই সংস্কৃতি। তাদের রাজ্য সভাপতি একজন অধ্যাপক। তারপরেও তাদের দলের মধ্যে এমন সংস্কৃতি থাকে, তা আমাদের আশ্চর্য লাগে।” পরীক্ষা চলাকালীন কীভাবে মাইক বাজানো হল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃনমূল নেতা গোপাল রায়। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে বলেন, “আমরা মাইকের ডেসিবেল কমিয়ে রাখব। প্রয়োজনে মাইক ছাড়া প্রোগ্রাম করব। বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচরে এসেছে। আমরা চাই না কোনও স্কুলের পড়াশোনার কোনওভাবে ব্যহত হোক। যেটুকু আমাদের জন্য ব্যাহত হয়েছে, তার জন্য ক্ষমা প্রার্থী।”