কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যাওয়ার আগেই বিজেপি ওবিসি মোর্চার জেলা সভাপতিকে তুলে নিয়ে গিয়ে ‘মারধর’!

TMC BJP Clash: আহত বিজেপি নেতা জয়রাজের  অভিযোগ, কেন্দ্রীয়  মন্ত্রী সুভাষ সরকারের শহীদ সম্মান যাত্রা কর্মসূচিতে মগড়া এলাকার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।সকালে, মগড়া থানার কাছে সম্বর্ধনা মঞ্চ বাঁধলে তা পুলিশ ও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসে খুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যাওয়ার আগেই বিজেপি ওবিসি মোর্চার জেলা সভাপতিকে তুলে নিয়ে গিয়ে 'মারধর'!
আহত জয়রাজ, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 18, 2021 | 12:43 AM

হুগলি: শহিদ সম্মান কর্মসূচিতে বিজেপি (BJP) ওবিসি মোর্চার হুগলি জেলা সভাপতি জয়রাজ পালকে প্রকাশ্য রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার, কর্মসূচি পালনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার পাণ্ডুয়া হয়ে মগড়া পৌঁছনোর আগেই জয়রাজকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে কিছু তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। আহত জয়রাজ ইমামবাড়া হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন।

আহত বিজেপি নেতা জয়রাজের  অভিযোগ, কেন্দ্রীয়  মন্ত্রী সুভাষ সরকারের শহীদ সম্মান যাত্রা কর্মসূচিতে মগড়া এলাকার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।সকালে, মগড়া থানার কাছে সম্বর্ধনা মঞ্চ বাঁধলে তা পুলিশ ও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসে খুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তখনকার মতো ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও বিকেলে জয়রাজ সুভাষ সরকার আসার আগে মগড়গঞ্জে  গিয়ে দাঁড়ালে তাঁকে কয়েকজন দুষ্কৃতী জোর করে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে  জয়রাজকে বেধড়ক মারধর করে রাস্তাতেই ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতীরা। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে মগড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানেও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। কিন্তু, কোনওক্রমে আহত অবস্থাতেই গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে পড়েন তিনি। এরপর তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ইমামবাড়া হাসপাতালেই  তাঁকে দেখতে যান বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সুরেশ সাউ ও দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। সুরেশ সাউ জানিয়েছেন, আগামীকালই আহত জয়রাজকে হাসপাতালে দেখতে আসবেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। যদিও, তৃণমূল এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। চুঁচুড়া মগড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিকাশ রায় বলেন, ” আমরা দুয়ারে সরকার নিয়ে ব্যস্ত আছি। ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নয়। জয়রাজ পালের সম্বন্ধে সবাই জানে। বাজার গরম করার জন্য এসব নাটক করছেন বিজেপি নেতা।”

প্রসঙ্গত, গেরুয়া শিবিরের কর্মসূচিতে পুলিশি বাধা দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। ক্ষমতার অহংকারে ভুগছে তৃণমূল বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা। সোমবারই, কলকাতায় বিজেপির কর্মসূচি থেকে আটক করা হয় দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের। মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে  শহিদ সম্মান কর্মসূচি পালনে তত্‍পর বিজেপি। সেই কর্মসূচিতেই শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ-সহ মোট ৩০ জন কর্মী সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। আটক হয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার ও বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এরপরেই শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। আরও পড়ুন: ‘সাহসী পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর’, স্তুতিপত্র তৃণমূল সাংসদের, জল্পনার ‘মধ্যমণি’ অধিকারী!