AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BLO: ‘হ্যাঁ আমি সক্রিয় কর্মী’, নিজেই স্বীকার করে বিএলও হওয়ার রহস্য ফাঁস করলেন তৃণমূল নেতা

SIR in Bengal: বিতর্কের মুখে তৃণমূল যোগের কথা স্বীকার করে নিয়ে গৌতমবাবু যদিও বলছেন এখন কমিশন যদি চায় আমাকে বাদ দিতেই পারেন। তাঁর স্পষ্ট কথা, “নির্বাচন কমিশন থেকে ঠিক করে দিয়েছে তাই আমি কাজ পেয়েছি।

BLO: ‘হ্যাঁ আমি সক্রিয় কর্মী’, নিজেই স্বীকার করে বিএলও হওয়ার রহস্য ফাঁস করলেন তৃণমূল নেতা
রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 05, 2025 | 2:57 PM
Share

টাকি: তৃণমূল কর্মীর কাঁধে বিএলও-র দায়িত্ব! এই অভিযোগেই একদিন আগে ব্যাপক চাপানউতোর তৈরি হয়েছিল হুগলির রাজনৈতিক মহলে। অভিযোগ তুলেছিল খোদ বিজেপি। চন্ডীতলা দু’নম্বর ব্লকে ২৮৯ নম্বর বুথে বিএলও হিসাবে দেখা যায় খগেন সমাদ্দারকে। অন্যদিকে ২৮৯ নম্বর বুথের বিএলও হিসাবে দেখা যায় দেবাশিস সরকারকে। বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু মিত্রের অভিযোগ তিনি দীর্ঘদিন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী। অতীতেও নাকি তাঁদের তৃণমূলের একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে। যদিও ঘাসফুল শিবির সেসব মানতে নারাজ। এবার কার্যত একই অভিযোগের প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে টাকিতে। নিজেরও মুখে আবার সে কথা স্বীকারও করছেন তিনি। তা নিয়েই রাজনৈতিক তরজা এলাকায়। 

টাকি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ২৭০ নম্বর পার্টের বিএলও হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন বুথ কমিটির মেম্বার তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা গৌতম মণ্ডল। বর্তমানে হাসনাবাদ ব্লকের ন’পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তবে নিজের তৃণমূল সত্ত্বার কথা অকপটে স্বীকারও করছেন। কিন্তু যেখানে স্পষ্ট বলা হচ্ছে কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী বিএলও হতে পারবেন না, সেখানে কীভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গৌতমকে? প্রশ্ন বিরোধীদের। 

বিতর্কের মুখে তৃণমূল যোগের কথা স্বীকার করে নিয়ে গৌতমবাবু যদিও বলছেন এখন কমিশন যদি চায় আমাকে বাদ দিতেই পারেন। তাঁর স্পষ্ট কথা, “নির্বাচন কমিশন থেকে ঠিক করে দিয়েছে তাই আমি কাজ পেয়েছি। তবে আমি বরাবরই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী, স্থানীয় নেতা। বুথ কমিটি, ওয়ার্ড কমিটিতেও আছি আমি। এখন যদি কমিশন মনে করে আমাকে বিএলও-র কাজ থেকে বাদ দেবে তাহলে আমি কাজ করব না। আমি যে তৃণমূল কর্মী বলেছিলাম। কিন্তু তখন বলা হয়েছিল সব স্কুলের শিক্ষকদেরই বিএলও-র কাজ করতে হবে। তাই আমি বিএলও হওয়ার জন্য ফর্মটা ফিলাপ করেছিলাম।” অন্যদিকে বিজেপির জেলা কমিটির সহ-সভাপতি প্রিয়াঙ্কা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলছেন, “নিয়ম অনুযায়ী কোন দলের সক্রিয় কর্মী বা নেতা BLO হতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে উনি কী করে দায়িত্ব পেলেন বুঝতে পারছি না।”