হুগলি: ২৪ ঘণ্টা আগেই রীতিমতো উৎসব করে স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) জন্মজয়ন্তী পালন করেছে বাংলা। আর এদিন উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য (Keshav Prasad Maurya) দাবি করলেন, ‘শুধু বাংলাতেই স্বামীজীর পুজো হয় না।’
একুশের নির্বাচনের আগে রাজ্যে প্রচারের ঝড় তুলতে দেশের তাবড় তাবড় নেতাদের বাংলার মাটিতে নামিয়েছে বিজেপি (BJP)। তার মধ্যে রয়েছেন যোগী আদিত্যনাথের ডেপুটিও। সেই কেশবপ্রসাদ মৌর্যই এদিন দাবি করে বসেছেন, “শুধু বাংলাতেই স্বামীজীর পুজো হয় না। গোটা ভারতবর্ষে তাঁকে সম্মান দেওয়া হয়। স্বামীজীর পথে গোটা দেশ চলছে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ চলতে পারেনি।”
এর দায় রাজ্যের বর্তমান ও পূর্বতন শাসকদের ঘাড়ে চাপিয়েছেন তিনি। মৌর্যর বক্তব্য, “এর জন্য দোষী সিপিএম-তৃণমূল। স্বামীজী নিজে হিন্দু বলে গর্ব করেছেন। এটা আমারও গর্ব। কিন্তু এনারা মনে করেন, তাঁদের ভোটব্যাঙ্ক চলে যাবে। স্বামীজী রাস্তা দেখিয়েছেন, গরিবের সেব ভগবানের সেবা করার সমান। এরা গরিবের সেবা করার জায়গায় গরিবের শোষণ করে। গরিবের রক্ত চুষে অত্যাচার করে। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি মানুষের সেবায় বিশ্বাসী। তারা বাংলায় এলে মানুষেরই উন্নতি হবে।”
আরও পড়ুন: কেঁদে-কেটে বৈঠক ছাড়লেন তৃণমূলের নেত্রী! কেন?
কেন্দ্রের অন্যান্য প্রকল্প নিয়ে শাসককে কাটমানি খোঁচাতেও বিদ্ধ করেন তিনি। বিজেপি নেতা বলেন, “তৃণমূলের জন্যই এখনও অনেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি পায়নি। অসংখ্য মানুষ রান্নার গ্যাস পায়নি। এটা তৃণমূলের জন্য লজ্জার বিষয়।” পাশাপাশি কৃষক আইন কার্যকরে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ নিয়ে তাঁর মন্তব্য, “এই আন্দোলন কৃষকদের হাত থেকে বেরিয়ে বিজেপি বিরোধীদের হাতে চলে গিয়েছে। বিরোধীরা চায় না দেশের ভালো হোক। কৃষকদের পিছন থেকে সাহায্য করছে বেশ কয়েকটি দল। যারা মোদী বিরোধী ও বিজেপি বিরোধী তাঁরাই করছে এসব। সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দেবে সেটাই মেনে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।”
আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়: সৌমিত্র খাঁ