Woman Harrasment: সোশাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো বানিয়ে নাম, বন্ধুর বউকে টোপ দিয়ে মেটাল লালসা…

Hoogly: ভিডিয়ো বানাতে গিয়ে তিনজনের পরিচয়। তাঁদেরই একজনের স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

Woman Harrasment: সোশাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো বানিয়ে নাম, বন্ধুর বউকে টোপ দিয়ে মেটাল লালসা...
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 22, 2022 | 10:19 PM

হুগলি: সোশাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো তৈরি করে জনপ্রিয়তা পাওয়ার প্রবণতা এখন তুঙ্গে। প্রত্যেকেই নিজেকে মেলে ধরতে বেছে নিচ্ছে এই প্ল্যাটফর্ম। তাতে সাফল্য আসছে, মোটা অঙ্কের টাকা আয়ও হচ্ছে কারও কারও। কেউ আবার ভাইরাল হচ্ছেন নিছক খোরাক হিসাবে। একইভাবে কারও ক্ষেত্রে এই প্ল্যাটফর্ম বিপদের খাঁড়া হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শ্রীরামপুর থানায় এরকমই এক অভিযোগ জমা পড়েছে রবিবার। ভিডিয়ো বানাতে গিয়ে তিনজনের পরিচয়। তাঁদেরই একজনের স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগের আঙুল অপর দু’জনের বিরুদ্ধে। তাঁদের গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের দু’জনই হুগলির বাসিন্দা। নির্যাতিতার স্বামীও শ্রীরামপুরেই থাকেন। অভিযোগকারী যুবকের দাবি, গড়ফার ছেলেটি তাঁর দাদার মতো। অন্যজন বন্ধু। একটা সময় ওই যুবকও সোশাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো বানাতেন। সেখান থেকেই দু’জনের সঙ্গে আলাপ। কিন্তু পরবর্তীকালে মেয়েঘটিত কিছু সমস্যার জন্য সে সম্পর্কে ছেদ পড়ে।

অভিযোগ, শুক্রবার ওই দাদা ও বন্ধু অভিযোগকারীর স্ত্রীকে ফোন করে ডাকেন। তাঁর স্বামীর সম্পর্কে কিছু বলার আছে বলেই ডেকে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। এরপরই তাঁকে কলকাতার গড়ফার একটি ফ্ল্যাটে আটকে রেখে রাতভর পাশবিক নির্যাতন করা হয় বলে দাবি নির্যাতিতার স্বামীর। শনিবার সকাল ১০টায় বাড়ি ফিরে আসেন ওই তরুণী। স্বামীকে সবটা জানান। এরপরই শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। পুলিশ তদন্তে নেমে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। রবিবার ধৃতদের শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। চন্দননগর পুলিশের এসিপি শুভতোষ সরকার জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য তুলে আনার চেষ্টা করা হবে।

নির্যাতিতার স্বামী বলেন, “একজনকে আমি দাদা ডাকি, অন্যজন বন্ধু। দাদার কলকাতায় ফ্ল্যাট আছে। বন্ধু আমার বউকে চেনে। ওকে ডেকেছে, ও বিশ্বাস করে চলে গিয়েছে। আমাকে ফোনে না পেয়ে ও বেরিয়ে যায়। তারপর এই ঘটনা। কলকাতার দাদাটা সোশাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো করে। তাঁর একটা ভিডিয়ো পেজ আছে। একটা সময় আমি তাঁদের সঙ্গে ভিডিয়ো করতাম। সেখান থেকেই পরিচয়। পরে আমি সব ছেড়ে চলে আসি। প্রায় দু’ বছর হয়ে গেল দূরত্ব বাড়িয়েছি। মেয়েঘটিত নানা সমস্যা রয়েছে দু’জনের। কিন্তু আমার স্ত্রীর সঙ্গে এরকম করবে ভাবতেই পারছি না। বউকে ভুল বুঝিয়ে কলকাতায় নিয়ে গিয়েছিল।”