Maoist Poster: প্রতিবেশীকে শিক্ষা দিতে ‘মাওবাদী’র শরণাপন্ন রিষড়ার যুবক, এমন কাণ্ডে তাজ্জব পুলিশও
Hoogly: শুক্রবার ধৃতকে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
হুগলি: প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝামেলা। তা বলে পড়শি যুবক যে এমন কাণ্ড ঘটাতে পারেন ভাবতেই পারছেন না রিষড়া পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। সম্প্রতি এলাকায় দু’টি পোস্টার পড়ে। সাদা কাগজে লাল কালিতে সেই পোস্টারে লেখা ছিল ‘সিপিআইএমএল মাওবাদী’। এই পোস্টার ঘিরে হইচই পড়ে যায় এলাকায়। খবর দেওয়া হয় রিষড়া থানায়। শুরু হয় তদন্ত। এরপরই উঠে আসে রাজেন আইচ নামে ৪৭ বছর বয়সী এক যুবকের নাম। তাঁকে রিষড়া থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড় তাদের। পুলিশি সওয়ালের মুখে রাজেন জানান, এক প্রতিবেশীর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের ঝামেলা। তাঁকে ভয় দেখাতেই এই ‘মাওবাদী পোস্টার’-এর শরণাপন্ন হন তিনি। এরপরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
শুক্রবার ধৃতকে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের রিষড়া পুরসভার দাসপাড়ার ক্যাভেন্টার্স হাউজিং এলাকা। সেখানেই গত ১৮ এপ্রিল ও ৪ মে দু’টি পোস্টার পড়ে। দাবি করা হয়, এই পোস্টার মাওবাদীদের। এই ঘটনায় যৌথ তদন্তে নামে রিষড়া থানা ও চন্দননগর পুলিশের গোয়েন্দারা।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ শনিবার চুঁচুড়ায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, “১৮ এপ্রিল, ৪ মে রিষড়া পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে দু’টি পোস্টার পড়ে। দাবি করা হয় সেগুলি মাওবাদীদের দেওয়া পোস্টার। সাদা কাগজে লাল কালিতে লেখা। বড় কোনও বার্তা ছিল না। এরপরই তদন্ত শুরু হয়।”
প্রথম থেকেই পুলিশের মনে হয়েছিল, এ কাজ অন্য কারও। পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষের কথায়, “আমাদের প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল এরকম সংগঠনের কোনও কার্যকলাপ এখানে নেই। কিছু সন্দেহভাজনের নাম উঠে আসে তদন্তে। বিভিন্ন উপায়ে তদন্ত করে একজনকে ধরাও হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, হাতের লেখা পরীক্ষা করে দেখা যায় পোস্টারের হাতের লেখার মিল আছে। নাম রাজেন আইচ। তাঁকে গ্রেফতার করার পর স্পষ্ট হয়, প্রতিবেশীর সঙ্গে পুরনো বিবাদ মেটাতেই এটা করেছেন তিনি।”