Body Found: ভালবাসত, একলা ঘরে সামলাতে পারেনি নিজেকে… মেয়েকে ঘরের ভিতর এভাবে দেখে চোখ কপালে উঠল মা-বাবার
Hoogly: পরিবারের অভিযোগ, শনিবার রাত থেকে মীনাকুমারী ফোনে কারও সঙ্গে খুব ঝগড়াঝাটি করছিলেন। রাতে ঠিক করে খাওয়াদাওয়াও করেননি।
হুগলি: গত কয়েকদিন ধরে ফোনে সমানে ঝগড়া করত মেয়ে। বাড়ির লোকজন তা শুনেছে। তা বলে মেয়ে যে এমন কাণ্ড করে বসবে, ভাবতেই পারছে না বাড়ির লোকজন। হিন্দমোটরের দ্বারিক জঙ্গল রোডের একটি আবাসন থেকে রবিবার সকালে এক যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাড়ির লোকের সন্দেহ, সম্পর্কের টানাপোড়েনে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন ওই যুবতী। হিন্দমোটরের মীনাকুমারী পাসোয়ান (২৬)। কোন্নগরে একটি চুড়ির কারখানায় কাজ করতেন। রবিবার সকালে ঘরের ভিতর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। বাবা কাজে গিয়েছিলেন, মা গিয়েছিলেন পুজো দিতে। সেই সুযোগেই মীনাকুমারী এই ঘটনা ঘটান। উত্তরপাড়া থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পরিবারের অভিযোগ, শনিবার রাত থেকে মীনাকুমারী ফোনে কারও সঙ্গে খুব ঝগড়াঝাটি করছিলেন। রাতে ঠিক করে খাওয়াদাওয়াও করেননি। ক্রমাগত কান্নাকাটি করছিলেন। রবিবার সকালে মা কালীঘাটে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। বাবা কাজে বেরিয়ে যান। বাড়িতে বোনপো ছিলেন। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে মীনাকুমারী ফাঁকা ঘরে আত্মঘাতী হন বলে বাড়ির লোকজন জানান।
নিহতের বাবা শিবলাল পাসোয়ান জানান, “সাতটার সময় আমি কাজে চলে যাই। বউ গিয়েছিল কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে। ঘরে নাতি আর মেজো মেয়ে ছিল। নাতিকে বলল ‘তুই চলে যা, আমি কাজে যাব’। মোবাইলে কার সঙ্গে ঝগড়া না কী হয়েছে, শনিবার ওর মা বারবার খেতে বলেছিল খেল না। কেঁদেছে অনেকক্ষণ। এরপর সকালে আমরা বেরিয়ে যাই। ১২টা নাগাদ ফোন যায় আমার কাছে। জানতে পারি, মেয়ে এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে। কারও সঙ্গে প্রেম ছিল। তাঁর সঙ্গেই ফোনে কথা বলত। আমরা বাড়িতে বলেছিলাম, দেখা করিয়ে দিতে। বিয়ের জন্য কথাও বলব বলেছিলাম। সেসব তো হয়নি। উল্টে খালি ঝগড়া করত। বাড়ির ছাদে গিয়ে ঝামেলা করত।”
কিন্তু তা বলে মেয়ে যে নিজেকে শেষ করে দেবে এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না শিবলালের। তাঁর স্ত্রীও অঝোরে কেঁদে চলেছেন। মন্দিরে গিয়েছিলেন সন্তানদের মঙ্গলকামনায়। সেখান থেকে ফিরে এমন দৃশ্য দেখে নিজেকে আর স্থির রাখতে পারছেন না তিনি। অন্যদিকে মীনাকুমারীর কাকা সত্যেন্দ্র পাসোয়ান বলেন, “কী যে হল কে জানে। শুনছিলাম গত কয়েকদিন ধরে ফোনে খুব ঝগড়া করত। মনে হয় কারও সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার থেকেই এরকম কিছু করেছে বলে মনে হয়।”