Tarakeswar Bishnupur Rail Track: জমিজটে আটকে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেললাইনের কাজ, টাকা না পেলে কাজ নয়, বলছেন এলাকাবাসী
Goghat: এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, গোঘাটের পশ্চিম অমরপুর মৌজায় প্রতি কাঠা পিছু জমির দাম ঠিক হয়েছিল ১৪ হাজার ৬০০ টাকা। পরবর্তী পরিস্থিতিতে জমিদাতারা ৭৫ হাজার টাকা করে দাবি করেন।
হুগলি: রেলপথ তৈরি হোক, তাতে কোনও আপত্তি নেই গ্রামবাসীদের। তবে তাঁদের দাবি, কাজ তখনই শুরু হবে, যখন জমিদাতারা ন্যায্য দাম পাবেন। সেই দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলনে নামলেন জমিদাতারা। গোঘাটের পশ্চিম অমরপুরে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেললাইনের জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে সরগরম এলাকা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হুগলিতে প্রশাসনিক বৈঠক করতে আসছেন। আর তার আগেই শুরু হয়েছে আন্দোলন। গ্রামবাসী এবং চাষিরা একত্রিত হয়ে রেল প্রকল্পে অধিগৃহীত জমির ন্যায্য দামের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন।
১১ বছর পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কিছুতেই তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেললাইনের জমি জট কাটছে না। ফলে মাঝপথে থমকে রয়েছে প্রকল্পের কাজ। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, গোঘাটের পশ্চিম অমরপুর মৌজায় প্রতি কাঠা পিছু জমির দাম ঠিক হয়েছিল ১৪ হাজার ৬০০ টাকা। পরবর্তী পরিস্থিতিতে জমিদাতারা ৭৫ হাজার টাকা করে দাবি করেন। একইসঙ্গে যেহেতু এই এলাকা বন্যাকবলিত, তাই এলাকার লোকজনের দাবি, রেলপথ তৈরি করতে হবে গার্ডার ব্রিজ সহকারে।
স্থানীয়রা রেল চলুক, গ্রাম বাঁচাও নামে একটি কমিটি তৈরি করেছেন। তার সভাপতি বিশ্বনাথ মান্না বলেন, “আমাদের যে জমি নিয়েছে বা রেকর্ড করেছে এখনও কোনও কাগজ আসেনি। তথ্য নেই। টাকাপয়সাও পাচ্ছি না। এভাবে তো জমি ছেড়ে দেওয়া যায় না। তাই আমরা আন্দোলন করছি। বিডিও অফিসে শেষবার মিটিংয়ে ৭৫ হাজার টাকার কথা হয়। অথচ রেল কোনও কাগজ দেয়নি এখনও। এদিকে পিলার দিয়ে দিয়েছে। আমরাও চাই রেল চলুক, জমি দিতে রাজি আমরা। তবে আগে টাকা আসুক।” অন্যদিকে কমিটির মুখ্য উপদেষ্টা ফটিক কাইতি বলেন, “২০০৯ সাল থেকে আন্দোলন চলছে। তবু গত ৮ এপ্রিল বিডিও অফিসে আমরা বৈঠকে বসি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় আমাদের ৭৫ হাজার টাকা জমির দাম হিসাবে দিতে হবে। তারপর কিছুই এগোল না।”