Body Found: হেলান দিয়ে বসা লোকটা, চারপাশ ভাসছে রক্তে! কাকভোরে এমন কাণ্ডে হইচই বাজারে…

Tarakeswar: প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তার ধারে পড়েছিলেন সুব্রত মণ্ডল। শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। কী কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হোক বলেই দাবি তাঁদের।

Body Found: হেলান দিয়ে বসা লোকটা, চারপাশ ভাসছে রক্তে! কাকভোরে এমন কাণ্ডে হইচই বাজারে...
সুব্রত মণ্ডলের ভাইপো চিন্ময় মণ্ডল।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 28, 2022 | 12:58 PM

হুগলি: জামাইয়ের দোকানে রাত পাহারা দিতে আসতেন বৃদ্ধ। ভোরবেলায় সেই দোকানের সামনে থেকেই কোপানো দেহ উদ্ধার হল সুব্রত মণ্ডলের (৬০)। পরিবারের দাবি, চুরি করতে এসে এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে কেউ। যদিও তারকেশ্বর থানার পুলিশ সবদিক খোলা রেখেই তদন্ত করছে। তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙার ঘটনা। সুব্রত মণ্ডলের জামাইয়ের একটি মুদিখানার দোকান রয়েছে চাঁপাডাঙা বাজারে। সেই দোকানে রাতে থাকতেন তিনি। ভোরবেলা চলে যেতেন। শুক্রবার রাতেও তিনি দোকানে আসেন। এরপরই শনিবার ভোরের দিকে তাঁর জামাইকে ফোন করে জানানো হয়, দোকানের সামনে শ্বশুর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। পরে বাড়ির লোকজন গিয়ে দেহটি বসান। তবে ততক্ষণে সব শেষ। বাড়ির লোকজন জানান, সে সময় দোকানের দরজা খোলাই ছিল। রক্তে ভাসছিল দেহ। মাথা, শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতচিহ্ন। তারকেশ্বর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

সুব্রত মণ্ডলের ভাইপো চিন্ময় মণ্ডল বলেন, “দোকানটা কাকার জামাইয়ের। এমনিতে কাকা চাষের কাজ করেন। প্রতিদিন রাত ১০টা নাগাদ দোকান বন্ধ হলে সেখানে গিয়ে থাকতেন। আবার ভোরবেলায় চলে আসতেন। এদিন সকালে জামাই গিয়ে দেখে এই ঘটনা। তারপর আমিও কাকিমাকে নিয়ে যাই। গিয়ে দেখি এভাবে পড়ে আছে। আমরা তো মনে করছিলাম চুরি করতে এসে এই ঘটনা। কিন্তু পুলিশ তো বলছে খুনের জন্য। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।”

স্থানীয় ব্যবসায়ী কমিটির সম্পাদক প্রদীপ সামন্ত বলেন, “আমি এতদিন ধরে এখানে রয়েছি। দোকানের ভিতর কাউকে মেরে দিল, এমন ঘটনা আমি দেখিনি। এটা চিন্তার বিষয়। প্রশাসনকে বিশেষ নজর দিতে হবে। আলাদা করে চিন্তাভাবনা করতে হবে। না হলে অন্যদের মধ্যে তো ভয় কাজ করবে।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তার ধারে পড়েছিলেন সুব্রত মণ্ডল। শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। কী কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হোক বলেই দাবি তাঁদের। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী লাল্টু চট্টোপাধ্যায় বলেন,”সাড়ে ৫টায় আমরা খবরটা পাই। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দিই। ওসি নিজে গোটা টিম নিয়ে আসেন। দেহ নিয়ে যান। আমাদের সন্দেহ এটা ছিঁচকে চোরের কাজ। হতে পারে ওই ভদ্রলোক ওদের চিনে ফেলেছিলেন তাই তাঁকে খুন হতে হয়েছে। পুলিশ সবরকম চেষ্টা করছে। আমরা বলেছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপরাধীদের ধরতে হবে।” ঘটনাস্থল থেকে একটি কোদাল উদ্ধার হয়েছে। তা দিয়েই কোপানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। লাল্টু চট্টোপাধ্যায় জানান, “একটা বস্তায় বোরোলিন, পেস্ট, সিগারেট ভরা ছিল। ওই চোর হয়ত সেগুলি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল। শুনছি ৩০ হাজার টাকা নগদ নিয়ে চলে গেছে।”