Scrub Typhus: ‘ইঁদুরের থেকে সতর্ক থাকুন’, হুগলিতে জ্বরের বাড়বাড়ন্তে পরামর্শ চিকিৎসকদের
Hoogly: গত দু'বছর করোনা নিয়েই কেটে গিয়েছে জেলা প্রশাসনের। অন্যদিকে নজরের সময়ই পাওয়া যায়নি। কিন্তু এ বছর আবার নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে স্ক্রাব টাইফাসের আতঙ্ক।
হুগলি: একদিকে দাপট বাড়াচ্ছে করোনা। সঙ্গে ডেঙ্গি তো আছেই। এবার নতুন করে আতঙ্কে বাড়াচ্ছে স্ক্রাব টাইফাস। যেহেতু জ্বর, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকছে, সে ক্ষেত্রে অনেকেই সাধারণ ফ্লু ভেবে বসছেন। ফলে যথা সময়ে চিকিৎসা না হওয়ায় বাড়ছে ঝুঁকি। স্বাস্থ্যকর্তারা বলছেন, সঠিক সময়ে স্ক্রাব টাইফাস ধরা না পড়লে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই হুগলি জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে স্ক্রাব টাইফাস নিয়ে সচেতনতার প্রচার। গত দু’বছর করোনা নিয়েই কেটে গিয়েছে জেলা প্রশাসনের। অন্যদিকে নজরের সময়ই পাওয়া যায়নি। কিন্তু এ বছর আবার নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে স্ক্রাব টাইফাসের আতঙ্ক। হুগলি জেলা স্বাস্থ্য দফতর বিশেষ নজর দিচ্ছে। কারণ অবশ্য, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন জেলায় স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ১৫ জন আক্রান্ত এই মুহূর্তে। এরমধ্যে ৩ জন ভর্তি চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে। চুঁচুড়ায় ৩ জন, মগরায় ৪ জন, পোলবায় ৪ জন, ধনিয়াখালিতে ১ জন, হরিপালে ১ জন, পাণ্ডুয়ায় ১ জন এবং পুরশুড়ায় ১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। গত বছর জেলায় ৯৭ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। হুগলি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া বলেন, “এখন অনেকেরই জ্বর হচ্ছে। করোনাও বাড়ছে। আবার স্ক্রাব টাইফাস সম্পর্কে যেহেতু মানুষের ধারণা কম, তাই কেউ আক্রান্ত হলে ধরা পড়ছে দেরিতে। জেলা হাসপাতালে পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। মহকুমা হাসপাতালগুলিতেও পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” তাঁর পরামর্শ, মানুষকে সবসময় সচেতন থাকতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে ইঁদুরের থেকে।
চিকিৎসকরা বলছেন, স্ক্রাব টাইফাস হলে কোনওভাবেই অবহেলা করা যাবে না। জ্বর, মাথা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, শরীরে কোথাও কালো দাগ দেখলে পরীক্ষা করানো দরকার। প্রয়োজনে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। অনেকেই জ্বর হলে প্যারাসিটামল খেয়ে জ্বর কমানোর চেষ্টা করেন। সেটা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলা হচ্ছে।