Hooghly: তিনটে ডিম খেয়ে নেওয়ায় বন্ধুকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে মারার অভিযোগ, অভিযুক্তের ফাঁসি চাইছে পরিবার
Youth beaten to death: মৃত রামচন্দ্রের বাবা তারক ঘোষাল বলেন, "ক্লাবের ছেলেরা কোনও পদক্ষেপ করেনি। আমাকে ফোনও করেনি। মারা যাওয়ার পর আমাকে ডাকতে এসেছে। আমার ছেলেকে যারা মেরেছে, তাদের যেন ফাঁসি হয়। সামনেই আমার মেয়ের বিয়ে। এখন মেয়ের বিয়ে কী করে দেব? ছেলের কয়েক বছর আগেই বিয়ে হয়েছে।"

কামারপুর: জগদ্ধাত্রী পুজোর নিরঞ্জন উপলক্ষে ক্লাবে চলছিল খাওয়াদাওয়া। সেইসময় তিনটি ডিম খেয়ে নেন এক যুবক। তা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে বচসা বাধে। আর সেই বচসা থেকে যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল বন্ধুর বিরুদ্ধে। মৃতের নাম রামচন্দ্র ঘোষাল(২৬)। ঘটনাটি হুগলির কামারপুকুরের। কামারপুকুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে খুনের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজু মাইতি নামে অভিযুক্তকে আটক করেছে গোঘাট থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে কামারপুকুরের লাহাবাজারে একটি ক্লাবের জগদ্ধাত্রী পুজোর নিরঞ্জন ছিল। রাতে নিরঞ্জনের পর ক্লাবের সামনে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন ছিল। সেখানে অন্যদের রাখা তিনটি ডিম খেয়ে নিয়েছিলেন রামচন্দ্র। তার পরই রামচন্দ্রের সঙ্গে কয়েকজনের বচসা হয়। খাওয়াদাওয়া শেষে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় ফের বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, বচসার সময় রাজু মাইতি প্রতিবন্ধী একজনের ক্রাচ নিয়ে রামচন্দ্রের ঘাড়ে আঘাত করেন এবং তাঁকে মারতে মারতে কামারপুকুরে শ্রীধাম প্রতীক্ষালয়ে নিয়ে আসেন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁকে উদ্ধার করে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
রামচন্দ্রের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। মৃত রামচন্দ্রের বাবা তারক ঘোষাল বলেন, “ক্লাবের ছেলেরা কোনও পদক্ষেপ করেনি। আমাকে ফোনও করেনি। মারা যাওয়ার পর আমাকে ডাকতে এসেছে। আমার ছেলেকে যারা মেরেছে, তাদের যেন ফাঁসি হয়। সামনেই আমার মেয়ের বিয়ে। এখন মেয়ের বিয়ে কী করে দেব? ছেলের কয়েক বছর আগেই বিয়ে হয়েছে।” ক্লাবের সম্পাদক আশিস দে বলছেন, সবাই খাওয়াদাওয়ার পর বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। তারপর এই ঘটনা ঘটেছে। কী ঘটেছে, তাঁরা জানেন না।
এদিকে যেখানে বচসা চলছিল, তার কয়েক মিটারের মধ্যে রয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি। কয়েক মাস আগেই হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার ২৪ ঘণ্টা নজরদারির জন্য একাধিক সিসিক্যামেরার উদ্বোধন করেন। একদিকে সেই ক্যামেরার সামনে অন্যদিকে কয়েক মিটারের মধ্যে পুলিশ ফাঁড়ি ও শ্রী রামকৃষ্ণ মঠ, তারপরও এই ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও ঘটনার পর এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তকে আটক করে চলছে তদন্ত।
