ভিনরাজ্য থেকে বাংলায় ফিরে কত শতাংশ পরিযায়ীরা কাজ পেলেন?
পরিযায়ী শ্রমিকরা (Migrant Workers) রাজ্যে ফিরে এলে তাঁদের কাজ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই নির্দেশ অনুযায়ী কতটা কাজ হয়েছে?
কলকাতা: লকডাউন পরবর্তী সময়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Workers) জন্য বিকল্প কাজের আশ্বাস দিয়েছিল রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরে এলে তাঁদের কাজ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই নির্দেশ অনুযায়ী কতটা কাজ হয়েছে? সবাই কি কাজ পেয়েছেন? বসিরহাটের বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর TV9 বাংলার চোখে যে চিত্র ধরা পড়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, কাজ পেয়েছেন ৩ শতাংশের কিছু বেশি।
পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরে এলে তাঁদের কাজ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজে সব মানুষকে তালিকাভুক্ত করা সম্ভব নয়। এটা ধরে নিয়েই বিকল্প কাজের জন্য পঞ্চায়েত দফতরের অধীন সমন্বয় এলাকা উন্নয়ন পর্ষদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর জন্য ১,৫০০ কোটি টাকা ঋণও নেয় রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ায় পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে পাইলট প্রজেক্টও হয়। কিন্তু যতটা আশা করা হয়েছিল, বাস্তবে তার তুলনায় কাজ হয়েছে অনেকটাই কম।
আরও পড়ুন: ভোটে লড়ছে না ‘আইএসএফ’, প্রার্থী দেবে ‘অন্য দল’
সরকারি হিসেব বলছে, বসিরহাট উত্তর ও দক্ষিণে ২৯ হাজার ৩৮৬ জন শ্রমিক ঘরে ফিরেছিলেন। যার মধ্যে প্রতি ব্লক পিছু গড়ে কাজ পেয়েছেন ৭৫ থেকে ১০০ জন। বসিরহাটের মোট ১০ টি ব্লকে কাজ পেয়েছেন প্রায় হাজার জন। শতাংশের নিরিখে হিসেব কষলে দেখা যাচ্ছে মাত্র ৩.৪ শতাংশ কাজ পেয়েছেন। ভোটের আগে এই নিয়ে বসিরহাটে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে দোষারোপের পালাও চলছে। তবে ভোটের বাজারে পরিযায়ী সমস্যা যে রাজ্যের শাসক ও বিরোধী উভয়ের শিবিরের কপালে ভাঁজ ফেলেছে, তা স্পষ্টতই দৃশ্যমান।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে পত্রবোমা কমিশনের, ‘কেন এসব বলছেন নিজেই জানবেন’, লিখলেন সুদীপ জৈন