Al Qaeda Terrorist: ‘আমার ছেলে নির্দোষ’, কাতর আর্তি মায়ের, ‘ফাঁসানো হয়েছে’, দাবি আমিরুদ্দিনের দাদার
Al Qaeda Terrorist: উত্তর প্রদেশে একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন আমিরুদ্দিন। ছোট থেকেই এলাকায় অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র বলেই পরিচিত ছিল আমিরুদ্দিনের।
হাওড়া: আল কায়দার (Al Qaeda Terrorist) সঙ্গে যোগ রয়েছে হাওড়ার (Howrah) বাসিন্দা আমিরুদ্দিন খানের। এ খবরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলাজুড়ে। আমিরুদ্দিনকে সোমবারই গ্রেফতার করেছে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে প্রচুর চিনা গ্রেনেড এবং অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে কাশ্মীরে (Kashmir) জামা-কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে তাঁর। ২০০৭ সাল থেকে উপত্যকাতেই থাকছিলেন তিনি। মাদ্রাসায় (Madrasa) শিক্ষকতার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু, তাঁদের ছেলে যে কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে তা মানতে পারছেন না আমিরুদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা।
আমিরুদ্দিন বাইরে থাকলেও দীর্ঘদিন থেকে হাওড়া সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত আন্দুল মাসিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঠানপাড়া এলাকায় থাকছেন আমিরুদ্দিনের মা আলোমারা বেগম, বাবা মোস্তফা খান। পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে বসবাস। কিন্তু, আমিরুদ্দিনের জঙ্গি যোগের খবর মেলা মাত্রই পরিবারের সদস্য সহ অবাক হয়ে যাচ্ছেন এলাকার বান্দিরা। ‘ছেলে নির্দোষ’, সাফ দাবি আলোমারা বেগমের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার ছেলে নির্দোষ। গ্রামের লোকেদের জিজ্ঞাস করলেই জানতে পারবেন ছোট থেকে ও কীভাবে মানুষ হয়েছে। শেষবার ইদের সময় যখন এসেছিল তখনও খুব স্বাভাবিক ছিল ও। নামাজ পড়তে যাচ্ছিল। আত্মীয়দের বাড়ি গিয়েছিল। কোনও কিছু দেখেই সন্দেহ হয়নি। আমার ছেলে চোর-ডাকাত নয়। আমরা এ ঘটনার সঠিক তদন্ত চাই।”
কার্যত একই দাবি করেছেন আমিরের দাদা আজারউদ্দিন। তাঁর সাফ দাবি, চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে তাঁর ভাইকে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সঠিক তদন্তেরও দাবি করে তিনি বলেন, “চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। ওকে ধরেছে ২ তারিখে। আমরা সঠিক বিচার চাই। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি। বিচারের দাবি জানাচ্ছি।” এদিকে ইতিমধ্যেই আমিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক আইন এবং ইউএপিএ ধারায় মামলা শুরু হয়েছে। উত্তর প্রদেশে একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন আমিরুদ্দিন। ছোট থেকেই এলাকায় অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র বলেই পরিচিত ছিল তাঁর। সেই ছেলে জঙ্গি দলের সঙ্গে কী করে যুক্ত থাকতে পারে তা ভেবেই বিস্মৃত হচ্ছেন আলোমারা-মোস্তফার প্রতিবেশীরা।