Howrah: লকডাউনে ‘ওয়ার্ক ফর্ম হোম’ই খুঁজে দিয়েছে মনের মানুষ, অরিজিতের প্রেমে মেক্সিকোর মেয়ে এল হাওড়ায়

Howrah: করোনার শুরুতে ওয়ার্ক ফর্ম হোম শুরু করেন। কাজের পাশাপাশি সময় কাটাতে সোশ্যাল মিডিয়া ছিল ভরসা। এখান থেকেই আলাপ হয় মেক্সিকোর বাসিন্দা লেসলি ডেলগাডো র সঙ্গে।

Howrah: লকডাউনে 'ওয়ার্ক ফর্ম হোম'ই খুঁজে দিয়েছে মনের মানুষ, অরিজিতের প্রেমে মেক্সিকোর মেয়ে এল হাওড়ায়
অরিজিৎ ভট্টাচার্যের সঙ্গে লেসলি দেলগাডো।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 21, 2022 | 8:56 PM

হাওড়া: লকডাউনে ‘ওয়ার্ক ফর্ম হোম’ করতে করতে একেবারে একঘেয়েমি হয়ে উঠেছিল জীবন। ব্যস্ততার মাঝে হারিয়ে যাওয়া সেই অভ্যাসে আবার ফিরে আসেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ হয়ে ওঠেন বহুজাতিক সংস্থার কর্মী। আর তাতেই খুঁজে পান মনের মানুষ। মন দিয়ে বসেন বিদেশিকে। ভালোবাসার টানেই প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে সুদূর মেক্সিকো থেকে হাওড়ায় ছুটে এলেন প্রেমিকা। কয়েকদিনের মধ্যে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন যুগল। হাওড়ার বালি দুর্গাপুর সাহেববাগান এলাকার বাসিন্দা অরিজিৎ ভট্টাচার্য। বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত তিনি। করোনার শুরুতে ওয়ার্ক ফর্ম হোম শুরু করেন। কাজের পাশাপাশি সময় কাটাতে সোশ্যাল মিডিয়া ছিল ভরসা। এখান থেকেই আলাপ হয় মেক্সিকোর বাসিন্দা লেসলি ডেলগাডো র সঙ্গে।

প্রথমে বন্ধুত্ব, কথা বার্তা চলতে থাকে দিনরাত। গভীর হয় সম্পর্ক। একে অপরকে মন দিয়ে বসেন দুজনেই। দেখা করার জন্য মন অস্থির হয়ে ওঠে প্রেমিকার। কিন্তু উপায় নেই। কোভিডের ঢেউ আছড়ে পড়ে সারা বিশ্বে।

বন্ধ হয়ে যায় ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট। এরপর এবছর পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হতে সোজা মেক্সিকো থেকে হাওড়ায় অরিজিতের বাড়িতে হাজির লেসলি। ইতিমধ্যেই কথাবার্তা বলে দু’জনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গত ১৯ জুন তাঁদের রেজিস্ট্রি হয়ে যায়। আগামী ৫ জুলাই সাত পাকে বাঁধা পড়বেন দু’জনে। মজার ছলে অরিজিৎ বলেন, “করোনা না এলে আলাপ হত না।” আরিজিতের বাবা বিনায়ক ভট্টাচার্য অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী। মা কাকলি ভট্টাচার্য গৃহবধূ।

অরিজিতের বাবা বলেন, “লেসলির অত্যন্ত ভাল মেয়ে। সবাইকে আপন করে নিয়েছে। সে ইংরেজি ও বাংলা শিখছে ভালোভাবে আমাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য।” অরিজিৎ স্প্যানিশ ভাষা শিখেছেন। লেসলি আধো বাংলায় বলেন, “দুজনেই দু’জনের ভাষা শিখছি।”

অক্টোবর মাস পর্যন্ত হাওড়াতে থাকবে দু’জনে। এরপর মেক্সিকো যাবেন তাঁরা। সেখানে সামাজিক অনুষ্ঠান হবে। তারপর ঠিক হবে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা। লেসলি জানান বিয়ে নিয়ে প্রচন্ড উত্তেজিত তিনি। অরিজিতকে ভালোবেসে বিয়ে করতে পেরে খুশি।