Howrah Hooching Case: কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের! বিষমদে উত্তাল হাওড়ায় শুভেন্দুর সভার অনুমতি দিল না পুলিশ
Howrah Hooching Case: হাওড়া জেলাজুড়ে বিষমদ কাণ্ডে বড়সড় প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে পদ্ম শিবির। হাওড়ার পঞ্চানন তলায় এদিন বিজেপির প্রতিবাদ মিছিলকে কেন্দ্র করে বেধে যায় ধন্ধুমার কাণ্ড।
হাওড়া: ২১ জুলাই উলুবেড়িয়ায় বিজেপির সভা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে ব্যাপক চাপানউতর শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবসের দিন হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সভার অনুমতি না দেওয়ায় জল গড়ায় আদালতে। শেষ পর্যন্ত রাত ৮ থেকে ১০টা নাগাদ হাইকোর্টের তরফে এ সভার অনুমতি মিললেও সভা করেননি বিরোধী দলনেতা। এবার ফের রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতাকে মালিপাঁচঘড়ায় সভা করার অনুমতি দিল না পুলিশ। যা নিয়েও শুরু হয়েছে চাপানউতর। প্রসঙ্গত, হাওড়ার বিষমদ কাণ্ডে ব্যাপক ক্রমেই রাজ্য প্রশাসনের উপর চাপ বাড়িয়ে চলেছে পদ্ম শিবির। অভিযোগ, পুলিশ-প্রশাসনের মদতেই দীর্ঘদিন ধরে হাওড়ার গজানন বস্তিতে দীর্ঘদিন ধরে এই বেআইনি মদের কারবার চালাত মূল অভিযুক্ত প্রতাপ কর্মকার। সেই গজানন বস্তি এলাকাতেই মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে শুক্রবার সেখানে একটি সভা করার কথা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু, সভার অনুমতি দিল না মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিশ ও হাওড়া সিটি পুলিশ।
এদিকে হাওড়া জেলাজুড়ে বিষমদ কাণ্ডে বড়সড় প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে পদ্ম শিবির। হাওড়ার পঞ্চানন তলায় এদিন বিজেপির প্রতিবাদ মিছিলকে কেন্দ্র করে বেধে যায় ধন্ধুমার কাণ্ড। পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তিও হয় প্রতিবাদীদের। হাওড়া সিটি পুলিশের অফিসে এ ঘটনায় ডেপুটেশন দেওয়ার কথা ছিল বিজেপির। কিন্তু, সেখানে যাওয়ার আগে হাওড়ার পঞ্চানন তলায় পথ আটকায় পুলিশ। যা নিয়েও তৈরি হয় ব্যাপক উত্তেজনা। এরমধ্যে শুভেন্দুর সভায় অনুমতি না মেলাতে রাজনৈতিক মহলে আরও বেড়েছে চাপানউতর। এই প্রসঙ্গে বিজেপির হাওড়া জেলা সভাপতি মণিমোহন ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “বিষমদ কান্ডে মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিলের ডাক দিয়েছিলাম। পুলিশ কমিশনারকে ডেপুটেশন দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ জোর করে আমাদের পথ আটকায়।”
অন্যদিকে পুলিশ অবশ্য অনুমতি না দেওয়ার বিষয়ে অন্য তথ্য সামনে এনেছে। হাওড়া পুলিশের দাবি শুক্রবার বিকালে মালিপাঁচঘড়ায় শাসকদল তৃণমূলের তরফে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। আর ঠিক সেকারণেই একই জায়গায় ফের পদ্ম শিবিরকে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আইন মেনেই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘‘আগে থেকেই আমাদের দলের কর্মসূচি ছিল মালিপাঁচঘড়ায়। একটা দলের কর্মসূচি থাকলে সেখানে অন্য দলের কর্মসূচির অনুমতি দেয় না পুলিশ। তাছাড়া বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি ওই বস্তিতে গেছিলেন তখন কাউকেই বাধা দেওয়া হয়নি। ওরা এসব করে নাটক করছে।”