Howrah Bill: ‘মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্ত মানা উচিত রাজ্যপালের’, হাওড়া বিল নিয়ে সরব স্পিকার

Howrah: বৃহস্পতিবার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, 'বিল রাজ্যপালের কাছে গিয়েছে। এখনও অবধি আমাদের কাছে কোনও তার রেজাল্ট আসেনি।'

Howrah Bill: 'মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্ত মানা উচিত রাজ্যপালের', হাওড়া বিল নিয়ে সরব  স্পিকার
হাওড়া বিল নিয়ে রাজ্যপালকে তোপ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 26, 2022 | 5:48 PM

হাওড়া: হাওড়া বিল নিয়ে আবারও সরব বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিল নিয়ে ফের তোপ রাজ্যপালকে। স্পিকার বলেন, সুপ্রিমকোর্টে রায় অনুযায়ী মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্ত মানা উচিৎ রাজ্যপালের। বিল আটকে থাকায় নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে মন্তব্য স্পীকারের।

বৃহস্পতিবার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘বিল রাজ্যপালের কাছে গিয়েছে। এখনও অবধি আমাদের কাছে কোনও তার রেজাল্ট আসেনি। রাজ্যপাল হয় অনুমোদন দেবেন, বা হোল্ড করবেন অথবা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন। উনি কী করছেন উনি নিজে জানেন। সব সময়ই বিধান সভায় আসেন। এসে সাংবাদিক বৈঠক করে যান। সবাইকে বলেন কোনও বিল আমার কাছে পেন্ডিং নেই। অফিসিয়ালি আমাদের কাছে ওই বিল নিয়ে আমাদের কাছে এখনও কোনও তথ্য আসেনি। আমরা জানিনা ওই বিলের কী হল। বিধানসভায় সকলে আলোচনা করে বিল পাশ করেছেন। সেই বিল নিয়ে উনি মন্তব্য করতেই পারেন। তবে এইভাবে হোল্ড করার কোনও মানেই হয় না।’

এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘হাওড়া বিল অত্যন্ত অন্যায্য ভাবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় আটকে রেখেছেন। লক্ষ্মণরেখা পার করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তিনি এই কাজগুলি বিঘ্ন ঘটাচ্ছেন। রাজ্যপালের কোনও অধিকার নেই তাঁর পছন্দের দল পশ্চিমবঙ্গে ধাক্কা খাচ্ছে বলে তিনি হাওড়ার মানুষের উপর রাগ মেটাবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে দেবেন না। বিলম্ব ঘটাবেন এর কোনও অধিকার রাজ্যপালের নেই।’

বস্তুত, রাজ্যপালের সঙ্গে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংঘাত নতুন নয়। জাতীয় স্পিকারদের  সম্মেলনে রাজ্যপালের হাওড়া বিল আটকে রাখার বিষয়টি নিয়ে তোপ দাগেন তিনি। এরপর বিধানসভায় এসে এর মন্তব্যও করেন রাজ্যপাল।

প্রসঙ্গত,  ২০২১ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে পাশ হয় দ্য হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল ২০২১। ফলত, পুরসভার ওয়ার্ডের সংখ্যা ৬৬ থেকে কমে ফের ৫০-এ দাঁড়ায়। বালিকে আলাদা করার পর হাওড়া পুরসভার যে অংশ পড়ে থাকে সেই অংশ নিয়ে ৫০টি ওয়ার্ড হয়। হাওড়া পুরসভায় আগে ৫০টি ওয়ার্ডই ছিল। ২০১৫ সালে ৩৫টি ওয়ার্ডের বালি পুরসভাকে ১৬টি ওয়ার্ডে পরিণত করে হাওড়ার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন হাওড়ার ওয়ার্ডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৬৬টি। বর্তমানে হাওড়া ও বালি দু’টি পৃথক পুরসভা। এবং দু’টি পুরসভাতেই ভোট হয়নি।

রাজ্য সরকার ফেব্রুয়ারিতে অন্যন্য পুরসভা (বিধাননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি) মতো হাওড়া পুরসভাতেও ভোট করাতে চেয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি। এরপর ১০৮ টি পুরসভার সঙ্গে বালি পুরসভার ভোটের সম্ভবনা ছিল।গত বছরের শীতকালীন অধিবেশনে হাওড়া-বালি পুরসভার বিভাজন প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। পরে হাওড়াকে পৃথক পুরসভা করতেও সংশোধনী বিল পাশ করে রাজ্য। বিলটি রাজ্যপালের সইয়ের জন্য পাঠানো হয় রাজভবনে। কিন্তু রাজ্যপালের অভিযোগ ছিল একাধিকবার বলার পরও বিলটি নিয়ে বিস্তরিত কিছুই জানানো হয়নি তাঁকে। তারপরই সই করতে অস্বীকার করেন।

পরে নদী দিয়ে বয়ে গিয়েছে জল। বিষয়টি গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, হাওড়া পুরসভার বিলে সই করে দিয়েছেন রাজ্যপাল। কিন্তু রাজ্যপালের বক্তব্য ঘিরে বাড়ে ধোঁয়াশা। এরপর আজ ফের একই ইস্যুতে সরব হন রাজ্যপাল।