BJP Leader Arrest: স্কুলে চাকরির ‘দাম’ ২ লক্ষ টাকা, কিন্তু কোথায় চাকরি? হাওড়ার বাড়ি থেকেই গ্রেফতার বিজেপি নেতা
Howrah: হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির বক্তব্য, আইন আইনের মতেই চলবে। একইসঙ্গে তাদের বক্তব্য, ভোটের পর থেকে দলের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ নেই সুমিতরঞ্জনের।
হাওড়া: স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে নেতাদের টাকা নেওয়ার অভিযোগ এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতিতে ‘ট্রেন্ডিং’। শাসকদলের নেতাদের নাম তো ইতিমধ্যেই জড়িয়েছে, এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল এক বিজেপি নেতার নামও। তিনি আবার বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থীও হয়েছিলেন হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর থেকে। শুক্রবার রাতেই ওই বিজেপি নেতা সুমিতরঞ্জন কাঁড়ারকে হাওড়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে উদয়নারায়ণপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তের দাবি তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। অন্যদিকে হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির বক্তব্য, আইন আইনের মতেই চলবে। একইসঙ্গে তাদের বক্তব্য, ভোটের পর থেকে দলের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ নেই সুমিতরঞ্জনের। সুমিতরঞ্জনকে শনিবার উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
উদয়নারায়ণপুর উত্তর চাঁদচক এলাকার বাসিন্দা চন্দ্র শেখর। তাঁর অভিযোগ, স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে ২০১৫ সালে সুমিতরঞ্জন কাঁড়ার তাঁর কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই চাকরি তিনি আজও পাননি। অন্যদিকে যত দিন গিয়েছে ক্ষমতা বেড়েছে সুমিতরঞ্জনের। একুশের বিধানসভা ভোটে তিনিই উদয়নারায়ণপুর বিজেপির মুখ হয়ে ওঠেন। অভিযোগকারী জানান, এরপরই নিজের টাকা ফেরত পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। তদন্ত শুরু হয়। যদিও সুমিতরঞ্জনের বক্তব্য, তিনি রাজনীতির শিকার হয়েছেন।
হাওড়া গ্রামীণ জেলার বিজেপি সভাপতি অরুণোদয় পাল চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, “উনি অন্যায় করেছেন কি অন্যায় করেননি সে বিষয়ে আমি বিশদ জানি না। যদি অন্যায় করে থাকেন নিশ্চয়ই শাস্তি পাবেন, অন্যায় না করলে মুক্ত হবেন। আইন আইনের পথেই চলবে। এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। উনি বিধানসভা ভোটে উদয়নারায়ণপুরে আমাদের প্রার্থী ছিলেন। তারপর কিন্তু বিজেপির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নেই।”
অন্যদিকে উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক সমীরকুমার পাঁজার বক্তব্য, “এই গ্রেফতারি আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। আমি আজ সকালেই শুনলাম। ২০১৫-১৬ থেকে বারবার উনি এবং ওনার বাবা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছেলেমেয়ের কাছ থেকে চাকরির নামে টাকা পয়সা তুলেছেন। যাঁরা বিজেপির পতাকা নিয়ে ওনার পিছনে ঘুরতেন তাঁরাই এখন ধর্না দিচ্ছেন, পথ অবরোধ করছেন।”