Al Qaeda Terrorist: ঈদেও তো বাড়ি এল! মেধাবী আমিরুদ্দিনের নাম জঙ্গি কার্যকলাপে, বিশ্বাসই করতে পারছে না হাওড়ার পরিবার
Howrah: সূত্রের খবর, আমিরুদ্দিন গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে জেরা করে অনেক তথ্য উঠে এসেছে কাশ্মীর পুলিশের হাতে।
হাওড়া: আল কায়দা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগ সন্দেহে কাশ্মীর (Jammu Kashmir) থেকে গ্রেফতার হয়েছেন বাংলার এক যুবক। নাম আমিরুদ্দিন খান। হাওড়ার সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত মাসিলা পাঠানপাড়ায় বাড়ি তাঁর। সস্ত্রীক কাশ্মীরে থাকেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশ্মীরে জামা কাপড়ের ব্যবসা তাঁর। মাদ্রাসায় শিক্ষকতাও করেন। কিন্তু এই ব্যবসা ও শিক্ষকতার আড়ালে জঙ্গি গঠনের হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজকর্ম করতেন আমিরুদ্দিন বলেই দাবি কাশ্মীর পুলিশের।
সূত্রের খবর, আমিরুদ্দিন গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে জেরা করে অনেক তথ্য উঠে এসেছে কাশ্মীর পুলিশের হাতে। বর্তমানে কাশ্মীরে সস্ত্রীক বসবাস করতেন তিনি। জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দার সঙ্গে তাঁর যোগ আছে, এমনটাই মনে করছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক আইন এবং ইউএপিএ ধারায় মামলা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, আমিরুদ্দিন খানকে সোমবারই জম্মু কাশ্মীর পুলিশ গ্রেফতার করে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় চিনা গ্রেনেড এবং অস্ত্রশস্ত্র।
ছেলের গ্রেফতারির খবর সাঁকরাইলের বাড়িতে আসতেই হতবাক এলাকার লোকজন। পরিবারের লোকজনও মানতে পারছেন না ছেলের বিরুদ্ধে এমন ভয়াবহ অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা বিশ্বাস করতে নারাজ, জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বাড়ির ছেলে।
আমিরুদ্দিনের দাদা আজহারউদ্দিন খান জানান, তাঁরা পাঁচ ভাই, দুই বোন। আমিরুদ্দিন ছোট। উত্তর প্রদেশে একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন তিনি। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। ২০০৭ সাল থেকে কাশ্মীরে বসবাস করছেন। সেখানে বানিহাল ফইজুল ইসলাম মাদ্রাসায় থাকতেন, শিক্ষকতাও করতেন। মাদ্রাসায় পড়ানোর পাশাপাশি জামা কাপড়ের ব্যবসা করতেন। সাঁকরাইলের বাড়ি থেকে পাইকারি হারে তাঁর কাছে জামাকাপড় পাঠানো হত। এ বছর ইদের সময় বাড়িতেও এসেছিলেন। গ্রামের বাসিন্দা বাবাই মীর জানান, তাদের গ্রামের গর্ব আমিরুদ্দিন। কোনওভাবেই তিনি জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত তা মানা যায় না। আমিরুদ্দিনের পরিবার ও গ্রামের লোকজনের অনুমান, চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে আমিরুদ্দিনকে।